সুবিধাবাদীদের নয়, নেতা হবেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা: ওবায়দুল কাদের

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুবিধাবাদীদের নেতা হিসেবে দেখতে চাইনা, নেতা হবেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। যারা দলের দুঃসময়ে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুখে দু:খে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন তারাই হবেন দলের নেতা। এক সময়ে কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ রাজনীতির খরা ছিল। এখন আমরা অনেক শক্তিশালী। সবাই এক থাকবেন। নিজের দল ভারি করার জন্য সুবিধাবাদীদের দলে ভিড়াবেন না। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ”দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করা হয়েছে। মাতাবাড়ি থেকে শুরু করে কক্সবাজারে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে কক্সবাজারকে উন্নয়ন প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সমাবেশে ওবাদুল কাদের বলেন, দলকে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করুন।নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে যান। আপন ঘরে শত্রু থাকলে বাইরের শত্রু দরকার নাই। যে কোন মূল্যে নিজেদের ঐক্য সুদৃঢ় করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, দল ভারী করতে সুবিধাবাদিদের স্থান দিবেন না। দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। কমিটি করার বেলায় যেন ত্যাগীদের স্থান হয়। সিনিয়রদের সম্মান করবেন। না হলে একদিন যখন আপনারা সিনিয়র হবেন, তখন জুনিয়রদের সম্মান পাবেন না। আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। ক্ষমতার অহংকার করবেন না। অহংকার পতনের মূল। বিনয়ী লোকদের সবাই সম্মান করে, ভালবাসে। সুন্দর ব্যবহার দিয়ে জনগণের ভালবাসা অর্জন করুন। সেটিই হবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

আজকের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কারণে বিশে^র কাছে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী নিজের পরিশ্রমের গুণে বিশে^র সেরা শাসকের একজন। তিনি পা থেকে মাথা পর্যন্ত সৎ। সততায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের তুলনা হয় না। সেই সাহসেই নিজের দল থেকেই তিনি শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দৃষ্ঠান্ত দেখিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের মানুষ আতঙ্কে আছে। মানবিকতার কারণে রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা করে দিয়ে এখন আমরা চরম সংকটে আছি। আওয়ামী লীগ একটা পরিবারের মতো। অস্বচ্ছল-অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিবেন। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সামবেশে বক্তব্য রাখেন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত সাংসাদ কানিজ ফাতেমা আহমদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা যুব লীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল করসহ উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।

আরও খবর