মুজিববর্ষে সারাদেশে এককোটি গাছ লাগাবে বন অধিদফতর। এরইমধ্যে চারা উৎপাদনের জন্য বন বিভাগ সারাদেশের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে সম্ভব না হলেও জুনের প্রথম সপ্তাহে বৃক্ষরোপণ অভিযানের সময় এই গাছ বিতরণ করা হবে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এককোটি চারার মধ্যে কিছু চারা নষ্ট হতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত আরও ২০ লাখ গাছের চারা উৎপাদন করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ বিভিন্ন রকমের গাছের চারা বিতরণ করা হবে। এক্ষেত্রে দেশীয় ফলের গাছকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গত বছরের আগস্টে এককোটি ২০ লাখ চারা উৎপাদনের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সারাদেশের বনবিভাগ চারা উৎপাদনের কাজও শুরু করেছে। জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর, বন অধিদফতর এবং সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে র্যালি বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও করবে এই মন্ত্রণালয়। এছাড়া মুজিববর্ষ উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুজিববর্ষ পালনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন তার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুন্দরবনসহ দেশের বনাঞ্চল রক্ষা ও বাড়াতে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কঠোরভাবে আইন প্রয়োগে কার্যকর ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বন অধিদফতরের অর্থ, বাজেট ও সাধারণ নির্দেশনা ইউনিটের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক অজিত কুমার রুদ্র বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এরইমধ্যে মুজিববর্ষ পালনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এককোটি ২০ লাখ চারা উৎপাদনেরও কাজ চলছে। গাছের চারা উৎপাদন ও বিতরণের কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে কাজ করছে বন অধিদফতর।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-