শহিদুল ইসলাম, উখিয়া ◑
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত দিন দিন বিস্তৃতি ঘটছে। রাখাইনের চলমান সহিংসতা নিরসন পূর্বক স্বস্তি ফিরিয়ে এনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ টি রোহিঙ্গা সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ইয়াং হি লি।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে রোহিঙ্গাদের নতুন সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল ইউনিয়ন-এআরএনইউ চেয়ারম্যান মাষ্টার আবদুর রশীদ বলেন,আমরা ইয়াং হি লি এর কাছে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ কি,রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গত আড়াই বছরে জাতিসংঘের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।
বৈঠকে অংশ নেয়া রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক এর নেতা সৈয়দ উল্লাহ জানান,রাখাইনে সংঘাতের কারণে গত আড়াই বছরে অন্তত ২ লক্ষ রোহিঙ্গা ছাত্র -ছাত্রী তাদের মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
এসব রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা ইয়াং হি লি এর নিকট উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির দাবী জানানো হয়েছে বলে তারা জানান।
সোমবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর আড়াই টা পর্যন্ত চলা পৃথক বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন- এআরএনইউ এর চেয়ারম্যান মাষ্টার আবদুর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাষ্টার নুরুল আলম,মাষ্টার ইলিয়াস সহ ৭ জন,রোহিঙ্গা শান্তি মহিলা কমিটির হামিদা বেগম, সেতারা বেগম সহ ৬ জন,ভয়েস অব রোহিঙ্গার রিদুয়ান, শামসুল আলম সহ ৫ জন,রোহিঙ্গা ওমেন এন্ড নেটওয়ার্কের উম্মে কুলসুম,ইয়াছমিন সহ ৫ জন,রোহিঙ্গা রিফুউজি কাউন্সিলরের সিরাজুল মোস্তফা সহ ৫ জন,রোহিঙ্গা ইয়ুথ ফর লিগ্যাল অ্যাকশনের শফিক,বাংলাদেশ রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আবসারসহ ৬ জন।
উখিয়ার কুতুপালং মেগা -১৭ নং ক্যাম্পের সরকারী অফিসের কনফারেন্স হলে ক্লোজডোর পৃথক পৃথক রোহিঙ্গা সংগঠন গুলোর সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বৈঠকে সম্প্রতি মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে কুতুপালং মেগা বিভিন্ন ক্যাম্প আশ্রয় নেয়া ৬৩ জন রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ৫ জন রোহিঙ্গার সাথেও আলাদা বৈঠক করেন ইয়াং হি লি। এরপর তিনি সীমান্তের তুমব্রু কোনার পাড়া জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-