বাংলানিউজ ◑
পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যময় দেখতে চান পর্যটকরা। সড়কজুড়ে যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি আর ময়লা-আবর্জনায় বিরক্ত পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকতজুড়েও রয়েছে পলিথিনের প্যাকেট। ফলে সৈকত উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীরা হারাচ্ছে আগ্রহ।
পর্যটকরা বলছেন, দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন নগরী। অবকাঠামো উন্নয়নেও গুরুত্ব দিলেন অনেকে। তারা বলছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের এ শহরকে আধুনিক অবকাঠামোগতভাবে গড়ে তুললে পাল্টে যাবে চিত্র। সি-বিচ ছাড়া শহরে বিনোদনের তেমন কোনো স্থানও নেই। পুরো শহরে হাঁটার জন্য নেই ফুটপাতও। তাই পর্যটক আকর্ষণে পরিচ্ছন্নতা ও আধুনিক নগরী গড়ার আহ্বান তাদের।
কক্সবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শহরের কলাতলি পয়েন্ট থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ময়লা-আবর্জনায় ভরা। কলাতলি পয়েন্টে সড়কে নোংরা পানি, যা পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, কলাতলি পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টের সড়কেরও বেহাল দশা। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বিরক্ত পর্যটকরাও।
কক্সবাজার ঘুরতে আসা পর্যটক লামিয়া বলেন, বিদেশের সি-বিচ-শহর আর কক্সবাজারের মধ্যে পার্থক্য একটাই। আমরা নোংরা। আমাদের মানসিকতা নোংরা। এজন্য শহর ও বিচটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারছি না।
পর্যটক সাইদুর রহমান বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থাকার পরেও আমরা বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পারছি না, তার কারণ হলো কক্সবাজারে কোনো আধুনিক নগর গড়ে তুলতে পারিনি আমরা। শহর তো খুবই নোংরা। পরিচ্ছন্ন কক্সবাজার গড়ে তুলতে হবে, তাহলে আমরা এখানে বারবার ঘুরতে আসবো।
আরেক পর্যটক সায়মা বলেন, কক্সবাজার এখনো পর্যটন বান্ধব শহর গড়ে ওঠেনি। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এমন ভাবে শহর গড়তে হবে, যাতে একবার এলে মানুষ যেন বারবার ফিরে আসতে চায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-