আবদুল্লাহ আল আজিজ :
ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত শনিবার উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেছে।
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার বিক্রি, অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা, নকল পণ্য রাখার অভিযোগে তাদের এই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ জানুয়ারি (শনিবার) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় পালংখালী ইউসুফ এন্ড ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় এক লক্ষ টাকা, বালুখালী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লক্ষ টাকা, থাইংখালী এলাকার আবুল কালামের খাবারের হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, ফরিদুল আলমের খাবারের হোটেলকে ৫ হাজার টাকা,মো: হোসাইনের খাবারের হোটেলকে ৫ হাজার টাকা, উখিয়া সদরের নুর হোটেলকে এক লক্ষ টাকা, আল মামুন খাবার হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা, জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সুমন ধরের স্বর্ণের দোকানকে ২০ হাজার টাকা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৪২ধারায় জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার নুরুল কবিরের ষ্টেশনারী দোকানকে ৫০ হাজার টাকা,হামিদুর রহমানের ষ্টেশনারী দোকানকে ৫০ হাজার টাকা, দ: বি: ১৮৬০ এর ২৯১ এর ধারা অনুযায়ী সীলেরছড়া এলাকার মো: আইয়াজকে ১ হাজার ও একই এলাকার তারকেুর রহমানকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয় এবং আইন লঙ্ঘনের অপরাধে দ: বি: ১৮৬০ এর ২৯১ এর ধারায় ইনানী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে জুনাইদকে এক মাসের ও করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২এর (৭)১(ক) ধারা য় পালংখালী এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে মো: আনোয়ার হোসেনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
পরে ভেজাল খাদ্য বিক্রি রোধে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ নুরুল আলম সহ উপজেলা প্রশাসন।
ভুক্তভোগী জনসাধারণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ অভিযানকে সময়োপযুগী সিদ্ধান্ত মনে করে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-