ড.মিজানুর রহমান আল আজহারীর ওয়াজ শুনার জন্য খরুলিয়ায় জনস্রোত

শাহীন মাহমুদ রাসেল ◑

সমকালীন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণ মুফাসসির ও ইসলামী স্কলার মাওলানা ড.মিজানুর রহমান আল আজহারী খরুলিয়ায় অাসছে এমন বার্তা দিয়ে মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও পোষ্টারের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করেছেন মাহফিল কমিটি ও স্থানীরা।

অাজ ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বৃহত্তর খরুলিয়ার দরগাহ পাড়া সংলগ্ন মাঠে বাদ মাগরিব হইতে ফাহফিল চলছে। প্রধান বক্তা মিজানুর রজমান অাজহারীর জন্য অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার শ্রোতা ও তার বক্তরা, যা জনস্রোতের পরিনত হয়েছে।

কিন্তু এখনো প্রধান বক্তা আসেনি। মাহফিল হলেও বক্তব্য রাখতে পারবেন কিনা মিজানুর রহমান আজাহারি! এমন শষ্কা এখনো কাটেনি।

দরগাহ পাড়া ইসলামী জনকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান।

এ ছাড়ও মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বিপ্লবী ও মাওলানা শফিউল হক জিহাদীসহ দেশবরেণ্য আলেমগণ বক্তব্য রাখবেন।

ড.মিজানুর রহমান আল-আজহারী বর্তমান বাংলাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তা। বাংলাদেশে বৃত্তি ও মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়ে দাখিল ও আলিম পাস করে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য মিশর গমন করেন তিনি।

বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ ঐতিহাসিক আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তারপর মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল সম্পন্ন করে বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন।

ইংরেজি, বাংলা ও আরবিতে সমানভাবে পারদর্শী মিজানুর রহমান আজহারী। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামী বক্তা হিসেবে আলোচনা করেছেন। খরুলিয়ায় তার আগমনকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ বিরাজ করছে।

তাফসির মাহফিলের আয়োজকরা বলেন, এবারের তাফসির মাহফিল উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাহফিলটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে দোয়া, উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন কমিটিবৃন্দ।

এ মাহফিল আয়োজনের উদ্দেশ্য কী তা জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের সমাজের সমস্যাগুলোর একমাত্র সমাধান হলো কোরআন। কোরআনের আলোয় সমাজকে আলোকিত করা গেলে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অন্যায়-অপরাধ থাকবে না।

এ তাফসির মাহফিল থেকে কোরআনের আলো পেয়ে শিরক, বিদআত, মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাই ও দুর্নীতিমুক্ত হয়ে আমাদের সমাজ আলোকিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আরও খবর