নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
কথায় আছে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। ছোট বেলায় এই কথাটি বই-পুস্তকে পড়েনি এমন লোকের সংখ্যা খুঁজে পাওয়াটা কষ্টকর হবে। তবে বাস্তবতা হলো নাগরিক জীবনে চিরচেনা এই কথাটি বর্তমানে বইতেই আবদ্ধ হয়ে আছে।
মাদকের ভয়াবহ ছোবলে যুব সমাজ ও তরুণরা আজ ধ্বংসের পথে। তবে বর্তমানে উখিয়ায় দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যতিক্রমী চিত্র। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তাদের দেহমনে। আর সেটাকে আরো অটুট এবং সতেজ রাখতে শরীর চর্চায় মনোযোগী হয়ে উঠছেন তাঁরা। যার অন্যতম মাধ্যম জিমের যন্ত্রপাতি নিয়ে তরুণের দল ব্যস্ত ব্যায়ামে। পেছন ফিরে তাকানোর ফুসরৎ নেই কারো। ঘাম ঝরছে শরীরের। নিয়ম মেনেই চলছে একের পর অনুশীলন, খানিকটা বিরতি দিয়ে।
সরেজমিনে উখিয়ার একমাত্র ব্যায়ামাগার ‘পাওয়ার জিম সেন্টারের ভিতরে গেলে এরকম দৃশ্যই এখন চোখে পড়ে। মৃদু যন্ত্রসঙ্গীতের (মিউজিক) সুর ভেসে আসছে। এর মধ্যেই চলছে প্রশিক্ষণ। থরে থরে সাজানো রয়েছে জিমের যন্ত্রপাতি। যে যার প্রয়োজন মতো ব্যবহার করছেন সেগুলো।
উখিয়ায় মাদকের আগ্রাসন থাকলেও বেশ কিছু তরুণরা মাদককে এক কথায় ‘না’ বলছে। আর তা ভালোভাবে বুঝা যায় কোটবাজার স্টেশনের হাজী মার্কেটের ২য় তলায় গড়ে উঠা ‘পাওয়ার জিম সেন্টারে গিয়ে। নিয়মিত শারিরীক ব্যায়ামের পাশাপাশি বডি বিল্ডিয়েংও নজর দিচ্ছেন তারা। জিম মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করছেন প্রায় ২শ জন তরুণ।
পাওয়ার জিম সেন্টারের এক সদস্য কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বললেন, ‘শরীর ফিট রাখতেই আমি জিমে ভর্তি হয়েছি। খালি হাতে এক্সারসাইজের চাইতে ইনস্ট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজই আমার কাছে ভালো লাগে। জিমে সেই সুযোগ রয়েছে বলে এখানে আসা।’ একই কথা বলেছেন জিমের অন্যতম সদস্য কোটবাজারের ব্যবসায়ী, ‘মারিয়া মোবাইল ক্লিনিক’র সত্বাধিকারি নুরুল হক।
তিনি জানান, সারাদিন ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি, কিন্তু সন্ধ্যার পর যখন ফ্রি সময় পায় তখনই ব্যায়াম করতে পাওয়ার জিম সেন্টারে চলে আসি। শরীরের যত্ন নেয়া, শরীর ভালো রাখার তাগিদেই জিমে ভর্তি হয়েছেন বলে জানালেন তিনি।
পাওয়ার জিম সেন্টারের মালিক ও প্রশিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। শুরুর ১ম বছর আমাকে অনেক লোকসান দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়েছে। তবে বর্তমানে আমার জিমে প্রায় ৬শ মত সদস্য রয়েছে। এরা নিয়মিত জিম করছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সমস্বয়ে নতুন অঙ্গিকে সাজানো হয়েছে পাওয়ার জিম সেন্টারকে। ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে তরুণদের। ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সব বয়সী মানুষই এখানে আসে তবে তরুণদের আগ্রহটা একটু বেশি। আশা করি তরুণরা আরো আসবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিমে নতুন কোন সদস্য ভর্তি হলে তাকে অন্তত ৫দিন খালি হাতে অথবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সাসাইজ করতে হয়। এরপর থিউরি অনুযায়ী এক্সাসাইজ করানো হয়। এটা যার যার পারমঙ্গতার ওপর নির্ভর করে অর্থাৎ যে যতদিনে একটি ব্যয়াম আয়ত্ত করতে পারেন সে হিসেবে চলে তার প্রশিক্ষণ।
জানা গেছে, পাওয়ার জিম সেন্টারে সদস্য হতে হলে ভর্তির জন্য ফি ১ হাজার টাকা এবং মাসিক ফি ৫ শ’ টাকা দিতে হয়। এছাড়া ভর্তির আবেদনের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হয়।
জিমে ভর্তি ও ব্যায়াম সংক্রান্ত আরো তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন↓
আবদুল্লাহ আল মামুন
সত্বাধিকারী
পাওয়ার জিম সেন্টার
এন আলম মার্কেটের সামনে (হাজী মার্কেট) ২য় তলা, কোটবাজার, উখিয়া, কক্সবাজার
মোবাইল – 01829628316
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-