বিশেষ প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের লিংক রোড থেকে কাঞ্জরপাড়া পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজে চরম অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক সংস্কারের সময় ধুলোবালিতে পরিবেশ বিপন্ন হলেও দেখা কেউ নেই। অনেকেই নাকে মুখে মাস্ক পড়ে তার গন্তব্য স্থানে গেলেও বেশির ভাগ লোক ও ছাত্র সমাজ মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেনা। এমন পরিস্থিতিতে শ^াস কষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় আছে বলে চিকিৎসকেরা মতামত ব্যক্ত করে সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন,উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নির্মাণাধীন সড়ক পথে পানি ছিটিয়ে যাতে ধুলোবালি পড়তে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের অবহিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলছে প্রয়োজনের তাগিদে সড়ক পথে বাধ্য হয়ে চলতে হচ্ছে। কিন্তু ধুলোবালি নাকে মুখে ডুকে পড়লেও করার কিছু নেই। উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার ও এডিবি’র যৌথ অর্থায়নে এ সড়কটি সম্প্রসারণ ও পুণঃনিমার্ণ কাজ চলছে। কাজ চলাকালীন সময়ে যাতে মানুষের ব্যাঘাত না ঘটে, পথচারী, স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ধুলোবালিতে যাতে আক্রান্ত না হয় সেব্যাপারে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।
তারা বলেন, আজ পর্যন্তও সড়কে পানি ছিটানো হয়নি। অথচ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সড়কে পানি ছিটানোর নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত (সুপারভাইজার) আব্দুল জলিল জানান, সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, ধুলোবালির কারণে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে না। নাকে মুখে ধুলোবালি ঢুকে পড়ছে। তিনি বলেন, উখিয়ার সড়ক পথের উন্নয়ন হলেও সাময়িক ভাবে মানুষ যে কষ্ট পাচ্ছে তা সড়ক ও জনপদ বিভাগের ভেবে দেখা উচিত।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-