আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম ◑
১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামের টমটম চালক মাহবুব আলমকে শ্বাসরোধ্য করে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি। গ্রেপ্তার হয়নি কোন আসামী।
পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের বিচার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে তাদের এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা এখনো অধরা রয়ে গেছে। এ অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১২টার দিকে উখিয়া প্রেস ক্লাবের হলরুমে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে নিহত মাহবুব আলমের বয়োবৃদ্ধ মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাহবুব আলমের বয়োবৃদ্ধ মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৬৫ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আমি আমার একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছে। আমার ছেলেকে এলাকার ত্রাস বেলাল বাহিনী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। খুনের সাথে বেলাল ও তার ভাড়াতে সন্ত্রাসীরা জড়িত।’ এ সময় মাহবুবের মা কাঁন্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ‘আমার এখন কি হবে ? মা বলে আদর করে ডাকবে কে আমায়? আমার একমাত্র সন্তান হত্যার বিচার চাই।
সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহবুল আলমের মা সন্তানের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে আহাজারি করতে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় মাহবুবকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এরপরও হত্যাকান্ডের ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।’
আমরা গরীব তাই প্রশাসন আসামীদের পক্ষে নিয়েছে। তা না হলে আসামীরা মোটর সাইকেল নিয়ে প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করার সত্ত্বেও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না?
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহবুব আলমের চাচা হাতিমোরা জামে মসজিদের খতিব মৌলনা আলী আহামদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বেলাল বাহিনীর প্রধান বেলালসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩/৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। পুলিশ রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করতে পারেনি। তদন্ত কাজেও তাদের ধীরগতি। আসামীরা পার পেয়ে যাওয়ার কারণে মুঠোফোনে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
নিহতের পরিবার দাবী করেন, তারা যেকোন সময়ে হামলাসহ আবারো হত্যাকান্ডের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। এব্যাপারে নিহতের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাবে না। তবে খুনিরা পুলিশের নজরদারীতে আছে।’
উল্লেখ্য, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামে ধানক্ষেত থেকে মাহবুব আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-