ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান ◑
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিন বিশাল আকৃতির অসংখ্য গভীর নলকূপ স্থাপন করার কারণে একসময় বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হতে পারি আমরা উখিয়ার জনগণ।
একদিকে গাছপালা কেটে বনায়ন ধ্বংস করা হয়েছে পাহাড় গুলোও অধিকাংশ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে সাগর কাছে থাকায় লবন পানি ঢুকার সম্ভাবনা আছে তখন খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে উখিয়ার বিশুদ্ধ পানি প্রতিদিন বসানো হচ্ছে বিশাল আকৃতির ডিপ-টিউবওয়েল যা স্বাভাবিক ১.৫ ইঞ্চির ছেয়ে পাঁচ ছয় গুণ বড়। যেগুলোর ব্যয় ও সাধারণ গভীর নলকূপের ছেয়ে প্রায় পাঁচ ছয় গুণ বেশী।
ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পানির চাহিদা পূরণের জন্য নলকূপ স্থপন করা হলেও প্রতিনিয়ত বসানো হয়েছে কয়েক হাজার গভীর নলকূপ যেগুলো বিশাল আকৃতির হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
কিন্তু এর কোন ধরনের প্রতিকারও নেই বিশাল আকৃতির গভীর নলকূপের কারণে দিন দিন পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
যেখানে সরকার অনুমোদিত ১.৫ ইঞ্চি মাপের গভীর নলকূপ সচরাচর আমাদের গ্রামে গঞ্জে বসানো হলেও,সেখানে রুহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো হচ্ছে ৬ ছয় ইঞ্চি থেকে ২৪ চব্বিশ ইঞ্চি মাপের বিশাল আকৃতির গভীর নলকূপ।
উভয় সংকটে আমরা স্থানীয় জনগণ যেকোন সময় বিশুদ্ধ পানি দুষিত হতে পারে বঞ্চিত হতে পারি বিশুদ্ধ সুপেয় পানি পান করা থেকে।
যেখানে ১২ লক্ষের অধিক লোকের বসবাস সেখানে তাদের বর্জ্য গুলো একসময় পানির নিচের স্তরের সাথে মিশে মহামারি রোগ দেখা দিতে পারে।
আর যেন কোন বিশাল আকৃতির গভীর নলকূপ গুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো/স্থাপন না হয় তার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
◑ আমার ব্যক্তিগত মতামত ◑
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-