শহীদুল্লাহ কায়সার •
কক্সবাজার জেলায় মাত্র কয়েকদিন শান্ত ছিলো পেঁয়াজের বাজার। তাও আশানরূপ ছিলো না। ১৩০ টাকার নীচে নামেনি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত এই স্কন্দের কেজি। এখন সেই বাজার আবারো অস্থির। দাম কমাতো দূরে থাক। উল্টো দিনদিন ফুলে ফেঁপে উঠছে। আড়তদারদের সাথে পুরো বাজার জুড়েই এখন দোকানিদের কারসাজি।
গতকাল শহরের বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আড়তদাররা মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। যা খুচরো বাজারে দোকানদাররা ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে, বড় সাইজের তুরস্কের পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা হলেও খুচরো বাজারে এই পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা।
শুধু বাজার নয়। টেকনাফ বন্দরেও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল টেকনাফ বন্দরে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় প্রতি কেজি ১১০ টাকা। আজ সেই দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানালেন, এক ব্যবসায়ী।
এদিকে, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ আছে। কিন্তু কিছুতেই দাম কমছে না। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, ইতঃপূর্বে শুধু পাইকারি বিক্রেতারা একজোট হয়ে দাম বাড়াতেন। বর্তমানে এর সাথে যোগ হয়েছে খুচরো বিক্রেতারা। কোন দোকানে দাম বাড়ানোর সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই সবাই দাম বাড়াচ্ছেন। কেউই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
কক্সবাজারের এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা ২৫ নভেম্বর রাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, বন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তাই শহরের বাজারেও দাম বাড়ছে। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে পাইকারি বিক্রেতাদের চেয়েও খুচরো বিক্রেতারা বেশি দায়ী। কম দামে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করার ক্ষেত্রে তাঁরা একজোট। এক্ষেত্রে পাইকারি বিক্রেতাদেরও করার কিছুই থাকেনা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-