জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ •
টেকনাফে ঝ্ুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেন্টমার্টিনের জেটিঘাট। জেটিতে পর্যটকদের উঠা-নামার জন্য পর্যাপ্ত সিড়িঁ এবং জাহাজ ভেড়াতে কোন ধরণের পেন্টার নেই। পর্যাপ্ত সিড়িঁ এবং পেন্টার না থাকায় মই দিয়ে প্রতিদিন পর্যটকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন।
এদিকে লক্কর ঝক্কর এসব মই একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী বলে পর্যটকরা জানিয়েছেন। জাহাজের মাষ্টাররা জানান,শুরু থেকেই এই জেটিতে পেন্টার ছিলনা। জেটিতে পেন্টার না থাকায় জাহাজ ভিড়াতে তাদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। পেন্টার না থাকায় জাহাজ ভিড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত যেমন হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। তেমনি পেন্টারবিহীন জাহাজ ভেড়ানোয় জাহাজ এবং জেটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে নির্মাণের পর হতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সেন্টমার্টিন জেটিটি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন।
স্থানীয় লোকজন এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে জেলা পরিষদ হালকা-পাতলা সংস্কারের কাজ করেন। যা একেবারেই অপ্রতূল। সংস্কারের নামে জেটিতে লোহার পরিবর্তে নিম্নমানের কাঠ ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। তবে আমলা তান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেন্ট মার্টিন জেটিটি পুনঃ নির্মাণ করা যাচ্ছে না বলে জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
এদিকে জেটির নিচে,পাশে এবং উপরের অনেকাংশে ফাটল ধরেছে। নীচের পিলার সমূহ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেন্টমার্টিনের জেটিঘাট পুনঃ নির্মাণ না করলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনায় পড়ার আশংকা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটিঘাট চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় ধ্বসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা জেটিটি দ্রুত টেকসই সংস্কার এবং পুনঃ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন। সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেটি নির্মাণের কথা কেবল শুনেই আসছি। স্থানীয় জনসাধারণ এবং পর্যটকদের স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ জেটি দ্রুত সময়ে পুনঃ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন দ্বীপের এই জনপ্রতিনিধি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,বিষয়টি আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটক এবং স্থানীয়দের সুবিধার্থে জেটির বিষয়ে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব শফিক মিয়া বলেন,বিগত সময় জেটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ২কোটি ৭৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাধার কারণে প্রকল্পটি আর বাস্তবায়িত হয়নি। পর্যটক এবং স্থানীয় জনসাধারণের সুবিধার্থে নূতনভাবে জেটি নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সাথে কাজ করছেন। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের অনুমোদন পেলেই দ্রুত সময়ে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-