ইমরান আল মাহমুদ •
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে যেতে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাদের পালানো রোধে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
তবে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।তারা দখলে নিচ্ছে স্থানীয় শ্রমবাজার। রোহিঙ্গারা কম মজুরিতে কাজে নিয়োজিত হয়।
ফলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করতে পারতেছেনা। কারণ রোহিঙ্গা শ্রমিকরা স্বল্প মজুরিতে কাজ করায় প্রায়ই সবখানে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লক্ষ করা যায়।
তারা প্রতিনিয়ত উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে সকালে এসে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।
তবে স্থানীয়দের মনে শঙ্কা থেকে গেছে, রোহিঙ্গারা ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অনুপাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কম। রোহিঙ্গাদের ভাষা, চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ স্থানীয়দের সঙ্গে অনেক মিল। যার কারণে রোহিঙ্গারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে ক্যাম্প ত্যাগ করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমান সরকারের দক্ষতায় যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয় তাহলে ক্যাম্প পালানো রোহিঙ্গাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে পালানো প্রবণতা প্রতিরোধে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে পালাতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-