উখিয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমন চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিঃ হতাশ চাষীরা

ফারুক আহমদ, উখিয়া 
 
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উখিয়ায় আমন চাষাবাদ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুনগুনি পোকার আক্রমণ শেষ হতে না হতে প্রাকৃতিক বৈরি আবহাওয়ার আঘাতে চাষীদের স্বপ্ন যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। অনেকেই হতাশ হয়ে রজনী কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় চাষীরা জানান, উপজেলা পুরো মাঠজুড়ে সোনালী রংয়ের ফলন মুখরিত হয়ে উঠেছিল। আর কয়েকদিন পর শস্য কর্তন শুরু করার কথা। এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দমকা হাওয়ায় শত শত একর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে যা কোনভাবে ফুসে উঠা সম্ভব নয়।
উখিয়া কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার হলদিয়া পালং রত্নাপালং জালিয়াপালং রাজাপালং ও পালংখালী  ইউনিয়নে ৯ হাজার ৬ শত ১০ হেক্টর জমিতে  আমন চাষের আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ফলন পাকন ধরেছে অল্প কয়েকদিন পর শস্য কর্তন শুরু হবে।
এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, গত দুদিন ঘূর্ণিঝড় ও দমকা হাওয়ায়  উখিয়ায়  আমন চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকা  ধান গাছ গুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। বিলের পর বিল এমন দৃশ্য দেখে কৃষকদের স্বপ্নের আশা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলায় ১০/১৫ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক কৃষক জানান গত দু সপ্তাহ আগে গুনগুনি পোকার আক্রমণে শত শত একর জমি   আক্রান্ত হয়ে   ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকার আক্রমণ মোকাবেলা করে উন্নতি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর আঘাত যেন মরার উপর খড়ার ঘা। সচেতন নাগরিক সমাজ কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি ও ফলন উপাদানের ঘাটতি পূরণে সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
উখিয়া কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ জানান, ইতিমধ্যে আমন চাষের ক্ষতি নিরূপণে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

আরও খবর