ডেস্ক রিপোর্ট • খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ষোড়ষী ফারজানা রহমানের। দেয়া হলো না এসএসসি পরীক্ষা। চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের বাগাদি গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারজানার ফরমফিলাপের শেষ দিন ছিল আজ, তাইতো খালার বাড়ি বেড়ানোর সময় কমিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল ফারজানার স্বজনরা।
ব্রাহ্মনাবাড়িয়া মন্দবাগ স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথা দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘষে প্রাণ হারায় চাঁদপুর বালিয়া ইউনিয়নের তালুকদার বাড়ির কুয়েত প্রবাসী বিল্লাল বেপারী মেয়ে ফারজানা রহমান। এ ঘটনায় তার সাথে থাকা মা বেবী বেগমস, ভাই হাসান বেপারী, নানী ফিরোজা বেগম, মামাতো বোন মিতু, ইবলি, শিশু দ্রুব, মামী সাহিদাসহ ৮ স্বজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে পঙ্গত্বের পথে।
ফারজানার লাশ চাঁদপুরে তার বাড়িতে আনার পর এলাকার হাজারো লোক দেখতে জড়ো হয়। তার বিদ্যালয়ে শত শত সহপাঠীসহ অন্য ক্লাশের শিক্ষার্থী তার এ অকাল মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ফারজানার সহপাঠী এসএসসি পরিক্ষার্থী অন্তরা ইসলাম জানান, ফারজানা আমাদের ক্লাশের একজন ভাল ছাত্রী ছিল, সে ছিল আমাদের ভাল বন্ধু। ফারজানা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সে মেধাবী ছিল, ক্লাশে রোল ৯। টেস্টে সে সকল বিষয়ে ভাল নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। আজ তার ফরমফিলাপ করার কথা ছিল, কিন্তু আজতো সে আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেল।
ফুফাতো বোন আয়েশা আক্তার জানান, গত মঙ্গলবার সিলেটের শ্র্রীমঙ্গলে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ফারজানাসহ তাদের পরিবার। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পরে। আমাদের পরিবারে আরো ৮ জন স্বজন গুরুত্বর আহত হয়ে পঙ্গু হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের অনেকে হয়তো পঙ্গু হয়ে যাবে।
খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ফারজানার লাশ আনতে তালুকদার বাড়িতে যান চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছিম উদ্দিন। এলাকার লোকজন ও সহপাঠিদের আপত্তির কারনে লাশ আনা সম্ভব হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-