আবদুল্লাহ আল আজিজ •
উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা গরু বাজার এলাকায় ১২ বছরের এক রোহিঙ্গা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি জসিম আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকাবাসী সকালে ধর্ষক আলী আকবর সম্রাট (৪৫) কে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার বাড়ি রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং তুলাতলী এলাকায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
স্থানীদের সূত্রে জানা যায়, আকবর দীর্ঘদিন ধরে মরিচ্যা গরু বাজার এলাকায় কবিরাজী ডাক্তার হিসেবে কাজ করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে তার কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুজন (মা-মেয়ে) রোগী আসলে রাত বেশী হয়ে যাওয়ায় তাদের বাসায় থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাতে সরলতার সুযোগ নেয় আকবর।
পরে রাতে মায়ের সাথে আসা ছোট্ট মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করলে মেয়ের মা বিষয়টি জানতে পারলে আকবর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ভোরে মেয়েটি কান্নাকাটি করতে থাকলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের মাঝে জানাজানি হয়। এরপর গ্রামবাসী স্থানীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি জসিম আহমদকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ধর্ষক আকবরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি জসিম আহমদ জানান, আকবর বছরখানেক আগে থেকে মরিচ্যা গরু বাজার এলাকায় হাতুড়ি ডাক্তারি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেক অভিযোগ শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে শেষ করেছি। আর তাকে হাতুড়ি চিকিৎসা ছেড়ে দিতে কয়েকবার সতর্ক করা হলে সে কিছুদিন তার এই অপচিকিৎসা বন্ধ করে লাপাত্তা ছিল। কিন্তু লোক চক্ষুর অন্তরালে সে ফের এ কাজ শুরু করে এবং রোহিঙ্গা শিবিরে তার একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। তার ধারাবাহিকতায় সে নানা কৌশলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প চিকিৎসার নামে বিভিন্ন রোগী নিয়ে অপচিকিৎসা চালিয়ে যায়। আজ সকালে আমার পাশের বাড়ির ড্রাইভার হাসু মিয়া আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষনিক হলদিয়া পালং ১নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি গিয়াস ডনকে সাথে নিয়ে পলাতক আকবরকে খোঁজাখুজি করে সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে ছনবাজার এলাকা থেকে ধরে এনে তার বাসায় তালাবদ্ধ করে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুরের নির্দেশনায় একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষক আকবর গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ১৯/২০১৯ইং, তারিখ-১২/১১/২০১৯ইং।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-