ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আচড় লাগেনি কক্সবাজার উপকূলে

ডেস্ক রিপোর্ট • বঙ্গোপসগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতকাল শনিবার মধ্যরাতে আঘাত হানার কথা থাকলেও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল। বিশেষ করে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, পেকুয়া উপজেলার মগনামা, রাজাখালী সহ বিভিন্ন উপকূলীয় ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন জনসাধারণের মধ্যে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায়।

একারণে সাধারণ মানুষ সতর্কতার অবলম্বন হিসেবে অনেকেই নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নেয়। শনিবার সকাল থেকেই রাত পর্যন্ত কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অথবা মুষল ধারে বৃষ্টি হলেও সাগরের জোয়ারের পরিস্থিতি ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। পূর্ণিমা থাকায় জোয়ারের পানি কোথাও কোথাও ১-২ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।

গতকাল রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা রইস উদ্দিন মুকুল জানান- উপকূলীয় এলাকা থেকে জোয়ারের পানিতে গ্রাম ডুবে যাওয়ার খবর সরকারী দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা কিংবা জন প্রতিনিধিরা জানায়নি। তিনি আরো জানান- রাতেই কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও টেকনাফের নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার পর জোয়ারের স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবাহাওয়া অফিসের নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যাস আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী গতকাল রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে জানান- গতকাল সারাদিনই জোয়ারের পানি স্বাভাবিক ছিল। তবে রাতের দিকে জোয়ারের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সব এলাকায় বেরিবাধ নাই সেসব এলাকা দিয়ে জোয়ারের পানি একটু একটু করে লোকালয়ে ঢুকছে।

অপরদিকে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানিয়েছেন- গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব তার এলাকায় পড়েনি। জোয়ারের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

আরও খবর