পুলিশ মেসে রান্না করেন রোহিঙ্গা বাবুর্চি!

ডেস্ক রিপোর্ট • চট্টগ্রামের পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ মেসের বাবুর্চির দায়িত্ব পালন করছেন রোহিঙ্গা নাগরিক সিরাজুল ইসলাম।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি বিমল চন্দ্র ভৌমিক বিষয়টি অস্বীকার করলেও সিরাজুল তা স্বীকার করেছেন।

ওসি বলেন, ‘সিরাজের বাড়ি ফাঁড়ির পাশে। সে এ দেশেরই নাগরিক।’ রোহিঙ্গা সিরাজ বলেন, ‘আমার মূল বাড়ি মিয়ানামারে। দশ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছি। এ ফাঁড়িতে শুরু থেকে বার্বুচির সহকারী হিসেবে কাজ করলেও এখন বার্বুচির দায়িত্ব পালন করছি। প্রতি মাসে আমি ৯ হাজার টাকা পাই।’

সিরাজ আরো জানান, ছোটকালে মিয়ানমার থেকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় আসেন তিনি। সেখানে জামালপাড়া গ্রামে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তার ছোট বোন রমজান বিবি পুলিশ ফাড়িঁর পাশে এ জে চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

এতে বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কর্ণফুলী উপজেলার আওতাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ও অপকর্ম বাড়ছে। ফলে সরকার এসব অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করছে খোদ পুলিশ। আর সেই পুলিশের মেসের খাবারের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করছেন রোহিঙ্গা নাগরিক।

এই পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীত পাশে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ। উপজেলা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে রোহিঙ্গাদের এমন বিচরণ অবাক করার মতো।

শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিকলবাহা এখন ইয়াবার স্বর্গরাজ্য। এখানে প্রতিনিয়ত জগন্যতম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। আমার ইউনিয়নের জামালপাড়ায় গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা বসতি।

কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা নেলী বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা দেখতেছি। ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমকাল

আরও খবর