`সৈকতে অবৈধ ঝুঁপড়ি দোকান ও শুটকি মার্কেট থাকবে না’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি •

সমুদ্র সৈকতে থাকবে না অবৈধ ঝুঁপড়ি ও শুটকি মার্কেট। যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি সেখানেই এ্যাকশান নেয়া হবে। কক্সবাজার জেলার কোন সরকারী দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে হিল ডাউন সার্কিট হাউজে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “’আমরা কক্সবাজারবাসীর” নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এডিসি মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সমুদ্র সৈকতসহ পুরো কক্সবাজার সাজাতে সবার সহযোগিতা দরকার। সাগরপাড়ে প্রকৃত হকাররাই ব্যবসা করবে। কোন ঝুঁপড়ি দোকান থাকবে না। তালিকাভুক্ত হকারদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে । পৌরসভার নির্বাহী আদেশে সাগরপাড়ে ঢুকার পথে যে সব শুটকির দোকান আছে তা উচ্ছেদ করা হবে। যত দ্রæত সম্ভব এই কাজে করা হবে। এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে শিশুপার্ক স্থাপনের কাজ দৃশ্যমান হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি পর্যটন সেলের দায়িত্ব পাওয়ায় মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা সমন্বয়ে কক্সবাজারকে মনের মতো করে সাজানোর কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, বিমান বন্দর সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে। মাদক, দখল ও রোহিঙ্গা এই তিন বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আমরা কক্সবাজারবাসীর নেতাদের জবাবে

তিনি বলেন, শুধু প্রশাসন নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের জাগ্রত হতে হবে। টমটম, এনজিওর গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করা হবে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। এনজিওদের অবাধ বিচরণ, অপতৎপরতার বিষয়ে প্রশাসন খুবই সজাগ। দ্রæতত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হোক আমরা সবাই চাই।

সভায় সমুদ্র সৈকত রক্ষা, শহর জুড়ে যানজট, দখল, সমুদ্র পাড়ে শুঁটকি বাজার, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, খেলার মাঠ শূণ্য হয়ে পড়া, বাঁকখালী দখল, পৌর শহরে একাধিক সিএনজি স্টেশন উচ্ছেদ, দ্রæত পাবলিক লাইব্রেরী সংস্কার কাজ শেষ করা, এনজিওর সংস্থার হাজর হাজর গাড়ি শহরের প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, সেন্টমার্টিন জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রীবহন বন্ধ একই সাথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ পর্যটন শিল্প রক্ষায় বাস্তবিক পরিকল্পনা গ্রহনের বিষয়সহ বিভিন্ন দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন জেলার অন্যতম সামাজিক সংগঠন “আমরা কক্সবাজারবাসী’র নেতৃবৃন্দ। প্রস্তাবিত দাবীগুলো পর্যটন শিল্প ও কক্সবাজারবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবকিছু গুরুত্ব সহকারে নেবে জেলা প্রশাসন।

সভায় বক্তব্য রাখেন-কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক করিম উল্লাহ, মহসিন শেখ, নাজিম উদ্দিন, এইচএম নজরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল মামুন, সাংবাদিক এম.এ আজিজ রাসেল, সাংবাদিক ইমাম খাইর, নারী নেত্রী সফিনা আজিম, ইসমাঈল সাজ্জাদ, আরফাতুল মজিদ, নুরুল আজিম নিহাদ, ওসমান গণি, মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, দুলন ধর, কফিল উদ্দিন, অনিল দত্ত, মোঃ সেলিম, জাহেদুল ইসলাম রিটন, মোঃ ফারুক, মুহিবুল্লাহ মুহিব, মং থে হ্লা, জাহাঙ্গীর আলম শামস, মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, এম তারেকুর রহমান, সাকিবুর রহমান (সাকিব), ফয়সাল রিয়াদ প্রমুখ।

আরও খবর