নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে এক মাদরাসাছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের নাপিতারদ্বিয়া এলাকা ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় আরাফাত (৮)। সে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা গ্রামের ওমান প্রবাসী রুহুল কাদেরের ছেলে। বারাইয়াকাটা নুরানী মাদরাসায় ১ম শ্রেণিতে পড়তো আরাফাত।
শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মগনামা মিয়াজীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (১৬) ও একই ইউনিয়নের দরদরীঘোনা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রায়হান (১৮)। আটক রায়হান নিহত আরাফাতের আপন খালাতো ভাই।
পুলিশ জানায়, আরাফাত গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। আব্দুল কাদের, রায়হানসহ আরও কয়েকজন তাকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে নিয়ে যায়। পরে রাতে আরাফাতের খালা গোলতাজ বেগমকে অপহরণের বিষয়টি জানায় তারা। এরপর গোলতাজের মাধ্যমে অপহরণের খবরটি আরাফাতের মাকে পৌঁছানো হয়। এ সময় অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশ অবগত হলে অভিযান চালিয়ে পেকুয়া সদরের মাতবরপাড়া গ্রাম থেকে সকালে আব্দুল কাদেরকে আটক করে। পরে দুপুরে রায়হানকে মগনামা দরদরীঘোনা থেকে আটক করে পুলিশ।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামরুল আজম জানায়, মুক্তিপণের দাবিতে শিশু আরাফাতকে হত্যা করা হয়েছে। মগনামা নাপিতারদিয়া ধানি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা টিপে হত্যা করে জমিতে ফেলে রাখে অপরহরণকারীরা। অপহরণের দিন রাতের যেকোনো সময়ে তাকে হত্যা করা হয়।
এর আগে আটকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপহৃত আরাফাতকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে যায় পুলিশ। তারা একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-