উখিয়ায় নৃশংস ফোর মার্ডারের কিনারা মিলেছনা

ডেস্ক রিপোর্ট •

উখিয়া উপজেলায় কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তির বাড়িতে তার পরিবারের চারজনকে গলা কেটে খুনের কিনারা ২২ দিনেও করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া উপজেলার রত্নপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নপালং গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়ির চারজনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।রোকেন ওই এলাকার প্রবীণ বড়ুয়ার ছেলে।

নিহতরা হলেন রোকেনের মা সুখী বালা বড়ুয়া (৬৫), স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৬), ছেলে রবীন বড়ুয়া (৫) ও ভাই শিপু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়া (৬)।

ঘটনার দিন রোকেন কুয়েতে ছিলেন। স্বজনদের মৃত্যুর খবরে পরদিন তিনি দেশে ফেরেন।

এ ঘটনায় রোকেনের শ্বশুর শশাংক বড়ুয়া বাদী হয়ে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

ঘটনার ১৫ দিন পর রোকেনের বৌদি নিহত সনি বড়ুয়ার মা রিকু বড়ুয়া ও ভাগনি জামাই উজ্জ্বল বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেও হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলা প্রথমে তদন্তভার করেন উখিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ ফারুক। পরে তা হস্তান্তর করা হয় পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদারের কাছে।

এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে বুধবার উখিয়া আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন চার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই জনের একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে পিবিআই কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান। শনিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গ্রেপ্তার দুইজন এ ঘটনায় তারা জড়িত কিনা জানতে চাইলে আল-মামুন বলেন, “সন্দেহের বাইরে কেউ নন। যারা এ ঘটনা সংঘটন করতে পারে তারা প্রত্যেকেই তদন্তের ক্ষেত্রে বিবেচনা বা নজরদারির মধ্যে রয়েছে। আপাতত নির্দিষ্ট করে কাউকে জড়িত বলা সম্ভব হচ্ছে না।”

কোন কারণে ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয় মন্তব্য করে তদন্তকারি সংস্থাটির এ কর্মকর্তা বলেন, হত্যার ঘটনায় ডাকাতি, ব্যক্তিগত ও আত্মীয়তার সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। তদন্তে প্রত্যেকটা দিককে গুরুত্ব দিচ্ছি। এমন কি অপরিচিত লোক বা পেশাদার অপরাধের দিকটিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ”

আরও খবর