অটোরিকশা থেকে নামিয়ে পুলিশ বলে, ‘তোদের কাছে ইয়াবা আছে’

বিডি নিউজ •

রাজধানীর আজিমপুরে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে মধ্যরাতে বাসায় ফেরা এক সাংবাদিকের ভাইকে মারধর করা ও তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১টায় রাজধানীর আজিমপুরের বটতলায় বাসায় ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে ।

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার পর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কনভেনশন হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা ছিল। অনুষ্ঠান শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিতে দিতে মধ্যরাত হয়ে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নরসিংদীর গ্রামের বাড়ি থেকে আসা তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও ভাতিজা রিয়াদ (২১) সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে রাত ১টার দিকে আজিমপুরের বটতলা এলাকায় বাসার সামনে এসে নামেন।

তখন লালবাগ থানার এসআই কালামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ এসে তাদের কাছে জানতে চায়, এত রাতে বাইরে কেন? তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা জানালেও তাদের পুলিশের গাড়িতে উঠতে বলে। অটোরিকশা থেকে দুইজনকে নামিয়ে পুলিশ বলে, ‘তোদের কাছে ইয়াবা আছে।’ পুলিশের গাড়িতে উঠতে না চাওয়ায় তাদের মারধর করা হয়।

এ সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেনের গাড়ি এসে পৌঁছালে তিনি নেমে জানতে চান, কেন মারা হচ্ছে? এ সময় পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম।

তিনি এসেই এনটিভি নিউজের সাংবাদিক ফখরুল শাহীনকে থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে কাজী মোবারকের কলার ধরে টেনে গাড়িতে তুলতে যান। এ খবর শুনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত আরও কয়েকজন সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পরিদর্শক আসলামসহ ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে কাজী ‍মুবারক বলেন, ‘আমরা আজকে এ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম বলেন, ‘পুলিশ রাতে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেভাবেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু এরা সেটিকে ভিন্নদিকে নিয়ে বলেছে, ইয়াবা দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

আরও খবর