বিশেষ প্রতিবেদক •
র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সাথে বন্দুক যুদ্ধে ইয়াবা কারবারী অকাল মৃত্যুর পরও থেমে নেই ইয়াবা পাচার। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। পরিবহন বানিজ্যের আড়ালে ইয়াবার চালান পাচার হওয়ার কারনে ক্ষেত্র বিশেষে তা ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন থেকে ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে। টেকনাফ কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস, কার, ট্রাক, কাভার ভ্যানের মাধ্যমে মিয়ানমারের তৈরি ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে এদেশের আনাচে কানাচে। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ, বিজিপি ও শাহপরীর দ্বীপ হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন , দেশে ইয়াবা সেবকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়াবার চাহিদা বাড়ছে অত্যাধিক। এ সুযোগে পাচারকারীরা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদ করছে। সুযোগবুজে এসব ইয়াবা সড়ক পথে বিভিন্ন যানবাহন করে অনায়াসে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ্ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পরিবহন খাতে ইয়াবা পাচারের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার রাতে কলাতলী থেকে একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশী চালিয়ে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তৎসঙ্গে আটক করা হয়েছে ৩জন কে । এর আগে বালুখালীস্থ শাহ পরীরদ্বীপ হাইওয়ে পুলিশ টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি খালি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি চালায়।
হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রাজেশ বড়–য়া জানায়, কাঠের ট্রাকের বডির ভিতরে অভিনব কায়দায় তৈরি করা বক্স থেকে ২লক্ষ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। উখিয়াা থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম জানায়, চলতি মাসে ৫৭টি ইয়াবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ মামলা যানবাহন থেকে ইয়াবার চালান উদ্ধার আসামী ও চালকসহ আটক ও যানবাহন জব্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইয়াবা পাচারকারী চালকের সাথে কমিন্টম্যান্ট থাকে তার মালামাল পৌছার পর সেখান থেকে পাওয়া সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয় বলে ইয়াবাসহ আটক চালকেরা জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-