নিজস্ব প্রতিবেদক :

টেকনাফের বহুল আলোচিত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছাত্র সমাজের সভাপতি ও কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএল.বি আইন বিভাগের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলা থেমে মুল আসামীদের বাদ দেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূল আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেছন (পিবিআই)।
গতকাল শনিবার কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার দেলোয়ার হোসেনে বৃদ্ধ মা শারুক জামাল এই অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবব্যে জানানো হয়, গত ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছাত্র সমাজের সভাপতি ও কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএল.বি আইন বিভাগের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন এলাকার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নৃশংসভাবে খুন করে। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের বড়ভাই মোঃ রশিদ আহাম্মদ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় চিহ্নিত খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ও ইন্ধনদাতা নুরুল ইসলাম মেম্বারের পুত্র রাশেদ, আরিফ ও দিদারুল আলম, মৃত আবদুল হাসিমের পুত্র আবদুল হামিদ মেম্বার ও মোঃ আমিন, মৃত খুইল্যা মিয়ার পুত্র আব্দুল সালাম, মৃত রাবুল হাকিমের পুত্র লোকমান হাকিম প্রঃ সুফিয়ান, লোকমান হাকিম প্রঃ সুফিয়ানের পুত্র রশিদ উল্লাহ ও সৈয়দ উল্লাহ প্রঃ ভুট্টু, নুরুল আলমের পুত্র শামীম, আব্দুল হামিদের পুত্র সরোয়ার কামাল, নুরুল ইসলামের স্ত্রী ছখিনা খাতুন, ইবনে আমিনের পুত্র মমতাজ, নুরুল ইসলামের স্ত্রী সমজিদা বেগম, নুরুল ইসলামের পুত্র জাবের, জহির আহমদের পুত্র নুরুল আলম এবং আব্দুল হাসিমের পুত্র মাহমুদুল হক, ছিদ্দিক আহাম্মদের পুত্র আব্দুল শুক্কুর, আব্দুল হাসিমের পুত্র আজিজুল হক ও আব্দুল রব, আব্দুর রশিদের পুত্র হোছন, আবুল খায়েরের পুত্র মুছা, আজিজুর রহমানের পুত্র আব্দুল হামিদ, নুরুল ইসলাম মেম্বারো পুত্র মোঃ শফিক, আব্দুল হাসিমের পুত্র হারুন, আলী আহম্মদের পুত্র নজির আহম্মদ, বশির আহমদের পুত্র সৈয়দ আহম্মদ, মোঃ ইসলামের পুত্র ইলিয়াছ, মোঃ দলিলের পুত্র জুবায়ের ও নবী হোছনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়।
তথ্য মতে, মামলাটি সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের ভার দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেছন (পিবিআই) দেলোয়ার হোসেসেনর সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় মূল আসামী নুরুল ইসলাম মেম্বারের পুত্র রাশেদ, আরিফ ও দিদারুল আলম, মৃত আবদুল হাসিমের পুত্র আবদুল হামিদ মেম্বার ও মোঃ আমিন, মৃত খুইল্যা মিয়ার পুত্র আব্দুল সালাম, মৃত রাবুল হাকিমের পুত্র লোকমান হাকিম প্রঃ সুফিয়ান, লোকমান হাকিম প্রঃ সুফিয়ানের পুত্র রশিদ উল্লাহ ও সৈয়দ উল্লাহ প্রঃ ভুট্টু, নুরুল আলমের পুত্র শামীম, আব্দুল হামিদের পুত্র সরোয়ার কামাল, নুরুল ইসলামের স্ত্রী ছখিনা খাতুন, ইবনে আমিনের পুত্র মমতাজ, নুরুল ইসলামের স্ত্রী সমজিদা বেগম, নুরুল ইসলামের পুত্র জাবের, জহির আহমদের পুত্র নুরুল আলমকে সরাসরি মামলার এজাহার থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদের মধ্যে আব্দুল হাসিমের পুত্র আব্দুল হামিদ মেম্বার ইতিমধ্যে মারাও গেছেন।
পরিবারের অভিযোগ, মূল আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গুটিকয়েক আসামীদের নাম রেখে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের সাথে মোটা অংকের লেনদেন তাদেরকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
জানা গেছে, ওই ইয়াবা সিন্ডিকেট শুধু দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করেনি। দেলোয়ারের হত্যাকারীরা তার দুলাভাই আবুল বশরকেও খুন করে এবং ভাগিনা (আবুল বশরের পুত্র মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে। বর্তমানে ওই সন্ত্রাসীদের হামলা ও হুমকির মুখে এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে দেলোয়ার ও আবুল বশরের পরিবারের সকল সদস্য।
মামলার চাজসীট থেকে অব্যাহতি পেয়ে মূল আসামীরা এলাকায় ফিরে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় দেলোয়ার ও আবুল বশরের পরিবারের লোকজনকে হত্যা করবে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-