গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
দেশে পেঁয়াজ আমদানি ও বাজার নিয়ন্ত্রন রাখার লক্ষ্যে বছরের পর বছর ধরে সরকারের কোটি,কোটি, টাকা রাজস্ব আয়ের একমাত্র ঠিকানা টেকনাফ স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকা এক প্রতিনিধি দল।
২ অক্টোবর বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের (বস্ত্রসেল) এর যুগ্ন সচিব তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারকদের সাথে এক জরুরী বৈঠক মিলিত হন। এসময় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) মাসুদুর রহমান মোল্লা, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা,স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন,স্থল বন্দরের সহকারি ব্যবস্থাপক এজিএম জসিম উদ্দিন,স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম, যদু চন্দ্র দাস,এম আফছার সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
তবে এর আগে দুপুরে উখিয়া-টেকনাফ ৪ আসনের সাংসদ শাহিন আক্তার ও সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন টেকনাফ স্থল বন্দর ঘুরে দেখেন এবং বন্দরে কার্যক্রম গুলো পরিদর্শন করেন। এসময় ব্যবসায়ীরা বন্দর কর্তৃপক্ষের নানা প্রকার অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
একই দিন বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এদিকে বন্দরে শ্রমিক সংকট থাকার কারনে খালাসের অপেক্ষায় নোঙর করা অবস্থায় নাফনদীতে ভাসছে ২১ হাজার ৭৫ বস্তার মধ্যে (৮৪৩ মেট্রিক টন) পেঁয়াজের বেশ কয়েকটি ট্রলার।
উক্ত বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব তৌফিকুর রহমান বলেন,দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যদি পেঁয়াজের মুল্যে নিয়ে কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটে অপচেষ্টা চালায়। সে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভর্তি ৩৭টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন এলাকা রওয়ানা দিয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খলাসের অপক্ষোয় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বাজার দাম সহনশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি চলমান রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সুলভ মুল্যে পেয়াজ সরবারহ করতে হবে। ইতি মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন কক্সবাজারে ৬৫-৭০ টাকায় কেজি পেঁয়াজের খুচরা বিক্রয় মুল্য নির্ধারন করে দিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে আসা আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে ৫০ টাকার উর্দ্ধে বিক্রি না করার জন্যও পরার্মশ দেন তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-