মোহাম্মদ উল্লাহ,চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ফাঁড়ি পুলিশ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ লিটার চোলাই মদ ও ১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
এসময় ছয়জন জুয়াড়ি ও দুইজন মাদক বিক্রেতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোররাত পর্যন্ত ইউনিয়নের হারবাং ষ্টেশনের পূর্ব পার্শ্বে, ভান্ডারীর ডেবা ও গয়ালমারা পাহাড়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার ও জুয়াড়িসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে অংশ নেয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই পলাশ রায় বলেন, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মুলতবী গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলাকালে গোপন সূত্রে খবর আসে হারবাং ইউনিয়নের ভান্ডারীর ডেবা এলাকায় কয়েকজন লোক মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছে। পরে বিষয়টি হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলামকে অবহিত করলে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালাই। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালানোর চেষ্ঠা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে মো. সোহাগ (২৭) নামে একজন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কোমরে তল্লাসী চালিয়ে পলথিন মোড়ানো অবস্থায় ১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত যুবক সোহাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হারবাং ইছাছড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর ছত্তারের ছেলে।
এছাড়া একইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হারবাং ষ্টেশনের পূর্বপার্শ্বে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর বিভিন্ন প্যাকেট জাত করে চোলাই মদ বিক্রির সময় অভিযান চালিয়ে ১৫ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাই মদসহ রশিদা বেগম প্রকাশ রমিদা খাতুন (৪৫) নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রশিদা বেগম চকরিয়া পৌর পৌরসভার ঘনশ্যামবাজার সিকদার পাড়া এলাকার নুর আহামদের স্ত্রী।
এএসআই পলাশ রায় আরও বলেন, এছাড়া মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোররাতে ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় পাহাড়ের ভেতর জোয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ছয়জন চিহ্নিত জোয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের করমুহুরী এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মনছুর আলম (৩০), একই ওয়ার্ডের সাবানঘাটা এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে নুরুল কবির (৩২), একই এলাকার মৃত করিম উল্লাহর ছেলে নাছির উদ্দিন (২৭), শামশুল আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৬), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল হোসেন (২৩) ও একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুরুল কাদের (২৮)। পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, হারবাং ইউনিয়ননের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ লিটার চোলাই মদ ও ১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় ছয়জন জুয়াড়ি ও দুইজন মাদক বিক্রেতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃক জুয়াড়িদের ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ ও চোলাই মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফাঁড়ির এএসআই পলাশ রায় বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সদ্য যোগদান করা হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আসার পর থেকে হারবাং ও বরইতলী ইউনিয়নে মাদককারবারি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি কোন মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গং ইভটিজিং সহ সব ধরেেনর অপরাধাীকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসব চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-