বেনাপোল প্রতিনিধি •
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশের পথম চালান রফতানি হয়েছে ভারতে। ৮টি ট্রাকে করে ৩০ হাজার ৫৬০ কেজি ইলিশের চালান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে কাস্টমস কর্মকর্তারা দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রফতানির অনুমতি দেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন জানান, ৭ বছর পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেয় সরকার। প্রতিকেজি ইলিশের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান একোয়াটিক রিসোর্স লি: ঢাকা ও ভারতের আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান নাজ ইমপেক্স ইন্ডিয়া প্রাঃ লিঃ কলকাতা।
সিএন্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিতুল হক রুবাই জানান, ইলিশের প্রথম চালান সোমবার দুপুরে ভারতে রফতানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাবেন। পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি করবেন। মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে। ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশের ইলিশ আর ভারতে রফতানি হয়নি।
কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে। প্রথম চালান সোমবার ভারতে এসেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানির ছাড়পত্র দেয় গত ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে। বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাবে কলকাতায়। এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। এ বছর পশ্চিমবঙ্গে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। গত বছর যে ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই ইলিশ ৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। সোমবার ৮টি বাংলাদেশি ট্রাকে ৩০ হাজার ৫৬০ কেজি ইলিশের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি হয়েছে। যার রফতানি মূল্য ১৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬০ মার্কিন ডলার। ইলিশ পচনশীল পণ্য হওয়ায় দ্রুত রফতানির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-