মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
উখিয়া উপজেলার মধ্য রত্নাপালং বড়ুয়া পাড়া গ্রামে একই বাড়িতে বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত্রে যেকোন সময় জবাই করে ৪ জনকে খুন করা হত্যাকান্ডটি প্রাথমিক ধারণা মতে, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম ঘটনাস্থল দীর্ঘক্ষণ পর্যবেক্ষন করে ও আলামত দেখে এ ধারণা পোষন করেছেন।
তিনি জানান, হত্যাকান্ডের অনেক ক্লু ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এসব ক্লু প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম খুব শিঘ্রী হত্যাকান্ডের মূল ক্লু বের করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিআইডি’র ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছেন। পিবিআই-এর ফরেনসিক টিমও চট্টগ্রাম থেকে আসছেন। বিকেল আড়াইটার মধ্যে ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে ফরসেনিক টিম নাআসা পর্যন্ত লাশ গুলো যেভাবে পাওয়া গেছে, আপতত সেভাবেই থাকবে। তিনি বলেন, চুরি করতে এসে বাড়ীর লোকজন চোরকে চিনে ফললে, ছোট ছোট শিশুদের হত্যা করার কথা নয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, উখিয়ার ইউএনও প্রকৌশলী মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী, র্যাবের কর্মকর্তারা, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও ধর্মিয় নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অতিরিক্ত এসপি (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, এডিশনাল এসপি (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান, উখিয়ার ওসি মোহাম্মদ আবুল মনসুর, উখিয়ার ওসি তদন্ত, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী সকাল থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
ঘরের ভিতর খুন হয়ে থাকা প্রতিটি লাশের গলায় জবাই এর চিহ্ন রয়েছে। খুন হওয়া ঘরের ভিতর টেলিভিশন চলমান ছিল, নাস্তার প্লেট ছিলো, বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, উখিয়া উপজেলার রত্মাপালং ইউনিয়নে মধ্য রত্নাপালং বড়ুয়া পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে একই পরিবারের জবাই করা ৪ জনের লাশ পাওয়া যায়। লাশ ৪টি হলো মৃত প্রবীণ বড়ুয়ার স্ত্রী (১) সখী বড়ুয়া (বয়স-৬৭), সখী বড়ুয়ার পুত্র, কুয়েত প্রবাসী রোকন বড়ুয়ার স্ত্রী (২) মিলা বড়ুয়া (বয়স-২৫), মিলা বড়ুয়ার পুত্র (৩) রবীন বড়ুয়া (বয়স-১), মৃত প্রবীণ বড়ুয়ার আরেক পুত্র শিবু বড়ুয়ার কন্যা (৪) সনী বড়ুয়া (বয়স-৫) সহ ৪ জন। খুনের খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির চাদের সিড়ি দিয়ে নীচে প্রবেশ করে ৪ টি জবাই করা লাশ দেখতে পায়। বাড়ির পৃথক ৪ টি কক্ষে ৪ জনের লাশের সন্ধান মেলে। পরে তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-