ডেস্ক রিপোর্ট • আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেফতার হওয়া জিকে শামীম যাদের টাকা দিত, সেই তালিকায় বিএনপি নেতা ফখরুল, আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানের নামও রয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘পলিসি বেজড চ্যালেঞ্জ ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যারাই দুর্নীতি-অনিয়ম করছে তাদের গ্রেফতার করে আমরা আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি। যে অভিযান চলছে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, আরও অনেকে গ্রেফতার হবে।
এসময় তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ফখরুল সাহেব এতো উচ্চসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। মদ-জুয়া চালু করেছিল আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। আপনাদের নেতা তারেক রহমান দুর্নীতির বরপুত্র। আপনাদের যারা দুর্নীতিগ্রস্থ, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অপকর্মের অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই দেশে এই অভিযান চলছে। ক্যাসিনো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা দুর্নীতি, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রশ্রয় দিচ্ছি না।’
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে হানিফ আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই মদ কে চালু করেছিল? আপনাদের দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে মেলা করে মদ-জুয়া চালু করেছিল। এটা জাতি ভুলে যায়নি। একটি অনলাইন মিডিয়াতে দেখলাম গ্রেফতার হওয়া জি কে শামীম যাদের টাকা দিত, তাদের নামের তালিকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানের নামও আছে।
‘খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই মির্জা ফখরুল সাহেব। মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকনের ক্যাডার ছিল এই জিকে শামীম। মির্জা আব্বাস যখন পূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তখনই জিকে শামীম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। এরপর সুযোগ বুঝে আওয়ামী লীগের দিকে ভেড়ে। কিন্তু তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আপনাদের দলের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ এবং বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর।
আইইবি’র কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রনক আহসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন- আইইবি’র কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ও কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-