দৈন্যদশার দৃশ্য: গোপনে মহা-সড়কে রাতারাতি ইট-বালির প্রলেপ

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজার-চট্টগ্রামের পিচ ঢালা রাজপথ এখন ইটের এবং বালির আবরণে আচ্ছাদিত। ব্যস্ততম এই মহা সড়কের খানা-খন্দক ও তরে তরে অজ¯্র ছোট বড় গর্ত লুকাতে সংশ্লিষ্টদের প্রাণপণ এই অপচেষ্টা।

আজ ২১ সেপ্টেম্বর পর্যটন গফল মাঠ অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় যোগ দিতে সৈকত শহরে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি। তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সড়ক, সেতু ও পরিবহন মন্ত্রী যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে কক্সবাজার আসছেন- সেহেতু মহা-সড়কটির দেখ ভালোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং কক্সবাজার কউক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত সড়কের তথৈবচ অবস্থা লুকাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি মন্ত্রী মাই- করেন-এই ভয়ে কউক ও সওজ বিগত এক সপ্তাহ ধরে সারা রাত সড়কের উপর সিঙ্গেল ইটের প্রলেপ দিচ্ছে।

সাথে দিচ্ছে পাহাড়ি মাটি। যার কারণে হাড়-গোড়, মাজা ভাঙ্গার এতদিনের সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে ধুলাবালির অস্বাস্থ্যকর যন্ত্রণার সড়কে। ফলে সড়ক বেয়ে পথ চলতে পথচারী-যাত্রী সাধারণকে সীমাহীন ধুলাবালির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরতলীর বাংলাবাজার, লিংকরোড়, সদর উপজেলা গেইট, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল ও পৌরসভা এলাকার মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশের গর্ত, ভাঙ্গন দৃশ্য মন্ত্রীর চোখে অদৃশ্য করতে এখন সিঙ্গেল ইট বসিয়েছে।

সদরের হাজি-পাড়ার পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা ফরিদুল আলম জানান- যদি প্রতিদিন না হোক মাসে একবার সড়ক, সেতু ও পরিবহন মন্ত্রী সড়ক পথে কক্সবাজার আসতেন তাহলে আমাদের পরিবহনের জন্য অনেক ভালো হতো। অন্যদিকে কলেজ ছাত্রী আকলিমা জান্নাত ইপ্তি ক্ষোভের সাথে জানান- কলেজে যেতে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। সর্বত্র ইটের উপর প্রলেপ দেয়া ধুলাবালির অসহ্য মহোৎসব চলছে।

আরও খবর