ডিপ্লোম্যাট পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘ডিপ্লোম্যাট’ তাদের সবশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে স্থান দিয়েছে। প্রচ্ছদের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা: দ্য মাদার অব হিউম্যানিটি’। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দ্য হেগের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। সে সময় ডিপ্লোম্যাটের প্রকাশক মেইলিন ডি লারা ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডস-এর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মরক্কো, তিউনিসিয়া, অ্যাংগোলা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ভ্যাটিকান, কসোভো, ব্রাজিল, কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা এবং ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা ও আজারবাইজানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড ও পানামা দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রকাশক মিজ মেইলিন ডি লারা এবং নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে পত্রিকাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন কী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে লাখ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গার জীবন রক্ষা করেছেন, আর বিশ্ববাসীর কাছে কীভাবে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রচ্ছদ হিসেবে শেখ হাসিনার ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত খবরকে বেছে নেওয়ার জন্য ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় করতে শুরু করে তারা। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর সুযোগ নিয়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা স্রোত জোরালো হওয়ার এক মাসের মাথায় মন্তব্য করেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দেই। সুতরাং বিপদে পড়ে আমাদের দেশে আসা দুই-পাঁচ-সাত লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে।’ তার এই ভূমিকা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়। তিনি খ্যাত হন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পরিচয়ে।

আরও খবর