বাংলাদেশী ‘স্মার্টকার্ড’ কিভাবে পেলো দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ?

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

নিজ কিশোরী কন্যার কর্ণছেদন অনুষ্টানে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ কোটি টাকা উপহার সামগ্রী পেয়ে আলোচনায় আসা টেকনাফের ঘটনাবহুল জনপদ জাদীমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের রয়েছে বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী পাহাড়ী এলাকা থেকে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদকে আমান উল্লাহ নামে অপর একজন সহযোগীসহ আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে তাঁকে আটকের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জাদীমুরাসহ পুরো এলাকা উত্তপ্ত হওয়ায় এতদিন ধামাচাপা ছিল কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের কিশোরী কন্যার জমকালো ‘কান ছেঁদা’ অনুষ্টানের চমকপ্রদ খবর।

জানা গেছে, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারী চট্রগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড তৈরী করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজী। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম।

১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। রয়েছে একাধিক স্ত্রী।

উল্লেখ্য, পাহাড়ী জনপদের ত্রাস, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ ১ সেপ্টেম্বর ভোর পৌনে ৬টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ী জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা।

আরও খবর