ডেস্ক রিপোর্ট :
৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের নাম অভিযোগে না রাখায় মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী। আর আসাদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও ওসিকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা মনে করি, এই অভিযোগপত্র ডিফেকটিভ (ত্রুটিযুক্ত)। এ কারণে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এর আগে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার রুপালি আবাসিক এলাকা থেকে সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দী ও মাদকবহনকারী সাবিনা আক্তার রুনুকে ইয়াবা ও টাকা সহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মাসুদ রানা। সরোয়ার্দীর বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের পরদিনই বন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার দুই আসামি এএসআই আলম সরোয়ার্দী ও কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম বলেন। তারপরেও ওসিকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। এই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।
তখন আসাদুজ্জামানকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানিকালে মামলা থেকে ওসিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। এরপরই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। পাশাপাশি দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে দুই সিনিয়র আইনজীবীর বক্তব্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এরপরই এ মামলায় রায় দিলেন হাইকোর্ট।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-