মিজানুর রহমান :
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বালুখালী শরণার্থীদের মানবিক সেবা ও পূর্নবাসন কর্মসূচি বাস্থবায়নের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দায়িত্বরত বেশ কিছু এনজিও সংস্থা। তার মধ্যে ( Purpose of life)এর নামক একটি এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
ঐ সংস্থার কাজ মনিটরিং করতে আসেন পাকিস্তানের নাগরিক সাজ্জাদ হোসাইনসহ আরও একাধিক ব্যক্তি রয়েছ। বিনা বাধায় রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করে।
বিনা টেন্ডারে ও গোপনে তাদের মদদপূষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক ঠিকাদারের সঙ্গে আতাত করে সেবার নামে দাতা সংস্থার বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট চালাচ্ছে তারা।এবং কি ঐ পাকিস্তানিরা কাজ দেখাশোনার শেষের কক্সবাজারে ফিরে আসে।
তথ্যঅনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ঐএনজিও সংস্থা কাজ গুলো খুব রহস্য জনক কর্মকান্ড। তারা মাদ্রাসার আড়ালে মানব পাচার ও জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেইন খাকার কথা তারা এখন বিদেশীদের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে ঘুরাঘুরি করছে।
তার মধ্যে মৌলভী বিন আমিন তিনি হলেন রোহিঙ্গা শরণার্থীতে থাকে, সে পাকিস্তানিদের সাথে শহরে বেশকিছু জায়গায় করতে দখা যাই। সেই পাকে প্রশাসেন চোখ পাকি দিয়ে চুরি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সরকার বিরুদী কাজে থাকেন তিনি।
তাদের কাজের ধরন হল টিউবওয়েল, চিকিৎসা, খাদ্য,এলমিন প্যাকেট, ঈদে কোরবানে গরুর মাংসসহ ও চুরি করে টাকা প্রদান করেন। বিনা অনুমতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬টি মাদ্রাসা পরিচারনা করছে। বালুখালীতে ৩টি, জামতলীতে ১টি ও কুতুপালংন লাম্বাসিয়াতে ২টি। প্রতিটি মাদ্রাসার বাজেট ১ লক্ষই টাকা। এর কাজে ব্যয় করে ৩ ভাগের ১ ভাগ আর অবসিষ্ট টাকা পকটে যায়। ঐ এনজিও সংস্থার নিয়োজিত রোহিঙ্গা যুুুুবক মৌঃ নমাজ আহমদের ছেলে মৌলভী বিন আমিন মাদ্রাসাসহ প্রায় ৯ টি প্রোডাকে কাজ করেন সে রোহিঙ্গা হয়ে এত কাজ কিভাবে করে স্থানীয়দের প্রশ্ন। তার সাথে আরও রয়েছে রমিজ আহমদের ছেলে ছৈয়দুল আমিন, ইব্রাহীমের ছেলে মৌঃ তৈয়ব ও হোসেন আহমদের ছেলে মাষ্টার তৈয়ব বালুখালী ক্যাম্পের ৯ ব্লক নং ১ জি -৩১ থাকেন।
আবার তাদের মাঝে মাঝে পরিচয় গোপন করে কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী পার্সপোর্ট এবং জাতীয়তা সনদ করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। রোহিঙ্গা মৌঃ বিন আমিন এর পরিচালনাধীন মাদ্রাসা তার অবস্থান এ১০, ক্যাম্প জামতলীসহ বিভিন্ন ব্লকে রয়েছে তাদের বিবিন্ন অভয়দ কর্মকান্ড। চিহ্নত ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে কাজ না দিয়ে। নিজেরাই কাজ ভাগ বন্টন করে পকেট ভারী করে করছে। বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনা গেছে।
এনিয়ে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মাঝে নানা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় এবং রোহিঙ্গাদের দাবী সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে ব্যাপক অনিয়ম – দুর্নীতি জঙ্গি তৎপরতাসহ অর্থ লুটপাটের ঘটনা বেরিয়ে আসবে এমনটা মনা করেন সচেতন মহল। আরও জানা যায় মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতন,গদ্যাংশ,ধর্ষণ,অগ্নিসংযোগসহ নানা অত্যাচারের শিকার হয়ে প্রাণের ভয়ে ১০ লাখেরই বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
বর্তমান কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী অনিবন্ধন ক্যাম্পে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভী বিন আমিন ও মৌঃ তৈয়ব জানান তারা কোন রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে নেবা নিচ্ছেন। তারা কোন এনজিও সাথে জড়িত নন। এবিষয়ে বাংলাদেশর শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ধরনের কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-