সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা স্টেশনে সড়কের উপরেই অবৈধভাবে বিভিন্ন গাড়ি ওয়াশ করার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে দিনরাত গাড়ি ওয়াশ করার কারনে স্থানীয়দের যাতায়ত সমস্যার পাশাপাশি সড়ক দিয়ে অপরাপর যান চলাচলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া ওয়াশের আবর্জনাযুক্ত পানি আশপাশে জমে থাকায় দুর্গন্ধে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে চরমভাবে। বিশেষ করে গাড়ি ওয়াশকালিন হেলাপার ও ড্রাইভারদের ইভটিজিং এর শিকার হয় ওই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করা স্কুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী।
এতে প্রতিনিয়তেই দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারাসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা। এ কারণে রাস্তায় যানজট ও সড়কের উপরে পানি জমায়েত থাকায় জন চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়ও শিক্ষার্থী রাস্তা দিয়ে স্কুলে আশা-যাওয়ার সময় পাইপের পানি ছিটকে পড়ে ড্রেস কাদাযুক্ত হয়ে স্কুলে না গিয়ে বাসায় ফিরতে হয় এমন অভিযোগও আছে শিক্ষার্থীদের। ফলে একদিকে পরিবেশ বিনষ্ট অন্যদিকে ওয়াশের শব্দে আশপাশের ব্যবসায়ীদের চরম শব্দদুষণ হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. রাসেল নামে এক ব্যক্তি অবৈধ ওয়াশ ঘরটি নির্মাণ করে। যে স্থানে ওয়াশ ঘরটি নির্মাণ হয়েছে সেটি ৫/৬ মাস পূর্বে ছিলো ভাতের হোটেল। পৌরসভার অনুমতিবিহীন অতি লাভের আশায় ওই হোটেলের পরিবর্তে গাড়ির ওয়াশ ঘর বানানো হয়েছে। এতে জনগনের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আগে ওই স্থানে ভাতের হোটেল ছিলো। এখন সেই স্থানে গাড়ি ধোয়ার ওয়াশঘর নির্মাণ করায় আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণে শব্দ দূষণ, রাস্তার উপরে বৃষ্টি না হলেও কাদাযুক্ত পানি জমায়েত হয়। ফলে ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তেই ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
কেজি স্কুলের ৫ম শ্রেণীর আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাই। ওই গাড়ি ওয়াশের কারণে রাস্তার সর্বদা পানি জমা থাকে। এদিকে আবার রাস্তায় উপরে খানা-খন্দক হয়ে ছোট্ট-ছোট্ট অসংখ্যা গর্ত পরিনত হয়। ফলে বৃষ্টি না হলেও ওই ওয়াশের জমানো পানি সিটকে পড়ে পরনের ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ওই পাইপের কাদাযুক্ত পানি ছিটকে পড়ায় স্কুলে না গিয়ে বাসায় ফিরে যেতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই রকম স্টেশনের উপর গাড়ির ওয়াশঘর নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়দের চরম ক্ষতি হচ্ছে। একদিকে যানজট, অন্যদিকে সড়কে কাদাযুক্ত পানি। পাশাপাশি সবর্দা পানি যাতায়াতে সড়ক নষ্ট। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে ওয়াশঘরের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রাসেল এর কাছে গাড়ি ওয়াশের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার কাছে কক্সবাজার পৌরসভা থেকে নেয়া খাবার হোটেলের ট্রেড লাইসেন্স আছে। ওই লাইসেন্স দিয়েই আমি গাড়ি ওয়াশের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।” এখানে আবার অনুমতির দরকার কি বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার লাইসেন্স শাখায় যোগাযোগ করা হলে লাইসেন্স ইন্সপেক্টর প্রমোথ পাল জানান, পৌর এলাকার কোন স্থানেই গাড়ি ওয়াশের অনুমতি নেই। ছোটখাটো কোন ওয়াশ প্রতিষ্ঠান থাকলে সেগুলো টার্মিনাল কেন্দ্রিক। শহরে যদি ভাতের হোটেলের লাইসেন্স ব্যবহার করে কোন অসাধু ব্যক্তি যদি গাড়ি ওয়াশের দেতাকান ঘর করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-