শাহীন মাহমুদ রাসেল :
কক্সবাজারের রামুতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফারুকের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় মোঃ ছৈয়দুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যবসায়ীর ভাই আহাম্মদুল্লাহ জানান, কিছুদিন আগে ছোট জামছড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী ছৈয়দুল তার ঘর নির্মাণ কাজের জন্য ট্রাক দিয়ে ইট এনে রাস্তায় নামাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার বাসিন্দা মৃত কালো মিয়ার পুত্র চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ অস্ত্র, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ অর্ধ ডজন মামলার পালাতক আসামী ফারুক ও তার বাহিনীর আরও ৩-৪ জন সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছৈয়দুলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা ছৈয়দুলকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সন্ধায় ওই এলাকার মতির দোকানে বন্ধু ফরিদের সাথে চা খেতে বসে ব্যাবসী ছৈয়দুল, এক পর্যায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফারুক এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। পরে তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী ফারুক প্রাণনাশসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ীকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানান, ফারুকের আরেক শিষ্য কচ্ছপিয়া এলাকার ত্রাস, ডাকাত, নেতা পুতিয়া এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে নিহত হওয়ায় কিছুদিন গা ঢাকা দেয় তার গুরু ফারুক। হঠাৎ করে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া এলকায় আবারো শীর্ষ সন্ত্রাসী ফারুক সক্রিয় হয়ে উঠে। তার চাহিদা অনুযায়ী মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাড়ির মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রবাসীদের কাছে চিঠি ও মৌখিকভাবে হুমকি দেয়া হয়। এমন কী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন ফারুক ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
থানা সুত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী ফারুকের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজী, অস্ত্র ও মাদকের অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক নারীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করাসহ নানা অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে।
স্থানীয়ারা দাবী করেন, ওই সন্ত্রাসীর কারনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খাইর জানান, ঘটনাটি শুনেছি, তবে কেউ মামলা বা অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-