কক্সবাজারের ঐহিত্যবাহী পশুর হাট (রুমখাঁ হাট বাজার) বসছে সোমবার থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

হাতে সময় একেবারেই কম। দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। চারদিকে এখন গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু কেনাবেচার প্রস্তুতি। কক্সবাজারবাসী খোঁজ নিচ্ছে আশ-পাশের হাটগুলোর। পছন্দসই হলে দরদামে মিললে দূরের-কাছের যেকোনো হাট থেকেই কিনে নিতে হবে সৃষ্টিকর্তার উর্দ্দেশ্যে কোরবানি দেওয়ার পশু।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কক্সবাজার জেলার ঐহিত্যবাহী স্বনামধন্য রুমখাঁ বাজারে বসছে কোরবানি পশুর হাট। আগামী ৬ আগষ্ট (সোমবার) থেকে কোরবানী পশু হাট বসছে। যা একটানা ১১ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। কোরবানী পশু বিক্রির জন্য হাটের চারদিকেই চলছে কর্মব্যস্ততা। হাটে থাকছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। পাইকারদের থাকা খাওয়ারও সুযোগ-সুবিধা থাকছে।

হাটের মূল ফটকে রুমখাঁ হাট বাজার নামে গেট বানানো হয়েছে। এছাড়া হাটের জন্য মোট তিনটা গেট তৈরি করা হয়েছে। ট্রাক থেকে গরু-মহিষ ও ছাগল নামানোর জন্য উঁচু স্থানও তৈরি করা হয়েছে। হাটের একপাশে বাঁশ আর ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আচ্ছাদন। এর নিচে গরু বাঁধার জন্য পোঁতা হয়েছে সারি সারি বাঁশের খুঁটি। শৌচাগার তৈরি, বাতির ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেপারিদের আবাস ও কোরবানির পশুর নিরাপত্তায় সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। হাটে জাল টাকা ধরতে থাকছে মেশিনও। এছাড়া পাঁচটি হাসিল ঘরও তৈরি করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার গরু ক্রয়-বিক্রি করার মতো অবকাঠমোগত সুবিধা থাকছে হাটে।

রুমখাঁ হাট বাজার ইজারাদার মোঃ মামুনুর রশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন ধরেই চলছে কর্ম তৎপরতা। এই হাটে মিয়ানমারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসতে শুরু করবেন বেপারিরা। উপজেলার স্থানীয়দের খামারে সারা বছরই পশু মোটা-তাজা করা হয়। গত কয়েক মাস ধরে এসব খামারে চলছে কোরবানীর পশু মোটা-তাজাকরণ। এছাড়া কোরবানী উপলক্ষে ব্যক্তি পর্যায়েও পশু পালন করেন অনেকে। ফলে স্থানীয়ভাবে বিপুল মজুদ গড়ে ওঠায় এবার পশু সংকটের আশঙ্কা নেই। আগামী সোমবার হাট গরু-মহিষ ও ছাগলে ভর্তি হয়ে যাবে।

কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই পশু কেনার জন্য এ হাটে যাবেন বলে আশাবাদী ইজারাদাররা।

আরও খবর