গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফ সীমান্ত পথ ব্যবহার করে এখনো পাচার হয়ে আসছে মিয়ানমারে উৎপাদিত মরন নেশা ইয়াবা। পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে,মাদক কারবারে জড়িতরা ততই ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার অব্যাহত এদিকে টেকনাফ সীমান্ত থেকে মাদকপাচার প্রতিরোধে করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যরা কঠোর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
কারণ পাচারকারীরা কোস্টগার্ডের উপস্থিতি আগেই টের পেয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। তথ্য সুত্রে দেখা যায়,২৫ জুলাই গভীর রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ নদীর উপর গড়ে উঠা জালিয়ারদ্বীপ (জাইল্যারদ্বীপ) সংলগ্ন কেওড়া বাগান এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এই ইয়াবা গুলো উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ কোস্টগার্ডের দায়িত্বরত স্টেশন কমান্ডার লে. মোঃ সোহেল রানা জানান, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমি কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ টিম নিয়ে নাফ নদীতে অবস্থান নিই। এরপর গভীর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদক পাচারে জড়িত চোরাকারবারীরা একটি নৌকাযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে থাকে এই সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে থামতে বললে পাচারকারীরা নৌকাটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে সুকৌশলে সাঁতরিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি পানির ভিতর থেকে উদ্ধার করে তল্লাশি চালিয়ে
৭ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো জানান,টেকনাফ সীমান্ত পথ ব্যবহার করে যে সমস্ত মাদক কারবারীরা এখনো ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-