প্রিয় উখিয়াবাসী এমন গর্বের সহিত আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন! ভাবুন, আপনারা নিজেদের লেভেলহীন এক অজসমাজে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা!
আপনারা তো এমন হওয়ার কথা নয় কিন্তু আমি জানতাম প্রিয় উখিয়ার সোনার ছাত্ররা এমন একটা সারপ্রাইজ আমাদের দিবে এনজিও বলে বলে নিজেদের শিক্ষাকে বোকা বানিয়ে ছেড়েছেন, এসএসসি পাশ করা ছেলে যখন ৩০/৪০ হাজার টাকার চাকরি পেল তখন তাদের টনকনড়া। একবারের জন্যও ভাবলেন না, চাকরিগুলো অস্থায়ী।
তারা যখন যেভাবে চাইবে সেভাবে আপনাদের ব্যবহার করবে, যখন চাইবে আপনাদের ছাটাই করবে। এমনতো হয়েছিলো না? যখন প্রায়শ ছাটাই হয়েছিলেন সবাই এসে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন, এনজিও তাদের শ্রমিক দুর্ভোগে আপনাদের ব্যবহার করেছিল। এখন তারা যোগ্যতার সহিত নিয়োগ দিবে স্বাভাবিক। আপনাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আন্দোলনে নেমেছিলেন, তাও অস্থায়ী চাকরির জন্য। যাদের যোগ্যতা ছিল তারা প্রায়শ চাকরি পেয়ে গেছে।
আমরা দেখেছি, এনজিও গরিবত্ব যতটুকু দূর করেনি তার চেয়ে বেশি বাড়িয়েছে নষ্টামি। অথচ আমার প্রিয় উখিয়াবাসী এক নষ্ট পরিবেশের স্বীকার হয়ে তাদের পূর্বপরিচিত আদর্শকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
আমার ১৮ বছরে দেখা, কোন ছেলে কোন মেয়েকে বাজারঘাট বা রাস্তায় অনেক দূর থেকেও টিচ করার সাহস পেতোনা অথচ সেই সভ্য ছেলেরা এখন বাজারে সবার সামনে মেয়েকে প্রেমের জোরে থাপড় দেয়। দিনের পর দিন বেড়ে যায় কক্সবাজার হোটেলের আয়, বেড়ে যায় সিএনজি ড্রাইভারদের আয়, ভেসে যায় ফেসবুক নষ্টামির প্রমাণে। অনেক গর্ব করি আপনাদের নিয়ে, আপনাদের এনজিওকে নিয়ে। অনেক গর্ব করি সেই তেজস্বী অভিভাবকদের নিয়ে।
সবকিছুর প্রভাব ইতিমধ্যে লক্ষণীয়, আপনারাই জানেন আপনাদের পরিবেশ_সমাজ_ব্যক্তিত্ব এবং পরিবারের উপর কিভাবে রাক্ষুসে এনজিওর প্রভাব পড়লো। ভেঙ্গে তচনচ করে দিলো তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে, আপনারাও ক্ষণিকের মেহমানিতে হারিয়ে দিলেন আপনাদের স্বপ্নকে_আদর্শকে।
গর্বের বিষয়, আমার উখিয়া উপজেলার শিক্ষার হার ৩৪%। আরে একটি সভ্যজাতি বেঁচে থাকতে অন্তত ৫০% শিক্ষার হার লাগে! আপনারা এখন বেঁচে আছেন, কিন্তু এভাবে বেঁচে থাকতে কোন রস খুঁজে পান!
আমি চাই, আমার প্রিয় উখিয়াবাসী ফিরে আসুক, চাই অভিভাবকদের অভিভাবকত্ব ফিরে আসুক, সচেতনতার উদয় হোক প্রতিটি মানুষে, নষ্টামির কবল থেকে মুক্তি পাক, পূর্বপুরুষের আদর্শে বলিয়ান হয়ে নষ্টামির প্রতিরোধ করুক, নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের আনাচেকানাচে ভরিয়ে দিক উখিয়াবাসীর সাফল্য, হারিয়ে দিয়ে এনজিও লক্ষকোটি কর্মসংস্থানের জন্ম দিক, আবার সেই ভ্রাতৃত্ব, সাম্য, সমতার শান্তি ফিরে আসুক প্রতিটি ঘরে ঘরে_পরিবারে
শুভ কামনা প্রিয় অভিভাবক, অগ্রজ এবং উখিয়ার জন্য♥
কথাগুলো আপনাদের ব্যাথা দিলে, ক্ষমার সুদৃষ্টি কাম্য…
মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-