বিশেষ প্রতিবেদক :
চাকুরী মেলায় স্থানীয়দের সাথে প্রতারনার মূল নায়ক এনজিও সংস্থা পালস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক কলিম উল্লাহ।
গত ৬ জুলাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অায়োজিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে নিয়ে চাকুরী মেলায় স্থানীয়দের সাথে প্রতারনা ও জালিয়াতির মূল হোতা এনজিও সংস্থা পালসের নির্বাহী পরিচালক কলিম উল্লাহ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশি এনজিও সংস্থাদের সাথে কলিম উল্লাহ গোপন বৈঠক করে পরিকল্পিত ভাবে অধিকাংশ এনজিও কর্মরতদের নতুন করে চাকুরী দিয়েছে। মেলার দুই দিন আগে পালসের কক্সবাজার অফিসে বসে এ প্রতারনা চক্রান্ত ও তালিকা প্রস্তুত করে।
গত ৬ জুলাই উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত চাকুরী মেলাতে ২৭৯ জন স্থানীয়দের চাকুরী হয় বলে ঘোষনা দেয়া জেলা প্রশাসন। এর কয়েকদিন পরে জেলা প্রশাসন ২৭৯ জনের নাম ঘোষনা করে। ২৭৯ জনের মধ্যে পালস এনজিওতে ১৯ জনকে নিয়োগের দেয়া হয়েছে বলে ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু এই ১৯ জনের মধ্যে সবাই গত দুই বছর অাগে থেকে পালসে কাজ করছে বলে জানা যায়। একই ভাবে কলিমের চক্রান্তে অধিকাংশ এনজিও পুরাতন কর্মরতদের নতুন করে চাকুরি দিয়েছেন। স্থানীয়দের চোখে ধুলা দিয়ে আগে থেকেই নিয়োগকৃতদের নতুন করে নিয়োগ দেখিয়ে চরম প্রতারনার আশ্রয় নেয়।
পালসের নিয়োগ তালিকায় এক নম্বরে থাকা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী ২০১৭ সালের মে মাস থেকে পালসে কাজ করছে। তার কাছ থেকে জানতে চাইলে সে জানায়, পালসের পরিচালক কলিম উল্লাহর নির্দেশেই এ কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও মেলাতে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও পালসে নিয়োগ পাওয়া শাহ নেওয়াজ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতা নুরুল অাবছার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। একই ভাবে চাকরির মালায় নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ কক্সবাজারের ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছে।
এই বিষয়ে স্থানিয়দের চাকরি নিয়ে আন্দোলন করা অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শরিফ আজাদ বলেন, পালসের কলিম উল্লাহ কক্সবাজারের সন্তান হয়েই আমাদের সাথে প্রতারনা করা হবে। চাকরির মেলার প্রতারনা নিয়ে দুয়েক দিনের ভেতরে পালস ও কলিমের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-