বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরের উত্তর তারাবনিয়ারছড়া এলাকায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে চিহ্নিত ভূমিদস্যূরা। ওই দখলবাজ ও ভুমিদস্যু কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দুল খালেক (৫০) ও তাঁর ছেলে মো. রনি (২৫)। ওই ভুমিদস্যু আব্দুল খালেক পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। এ বিষয়ে জায়গার প্রকৃত মালিক শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন পানবাজার রোডে মনজুর প্লাজার স্বত্বাধিকারী হাজী সুলতান আহমদের ছেলে হাজী মনজুর আলম বাদি হয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানায় ২০১৯ সালে ২৭ জুন একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ করার পরেও কোন ধরণের সুরাহা না পেয়ে গত ৩ জুলাই কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মনজুর আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে । যার এম. আর. মামলা নং- ৬৬৪/২০১৯ ইং। পরবর্তীতে বিচারাধীন ওই জমিতে কোন ধরণের নিমার্ণন কার্যক্রম না চালাতে ১৪৪ দ্বারা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহা: শাজাহান আলী। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী ওই ভুমিদস্যু নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাদী মনজুর আলম দাবি করেন এখানে আদালতের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে। অসহায় মনজুর আলম নিরুপায় হয়ে আইনের সহায়তা কামনা করেছেন।
অভিযোগ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ভূমিদস্যু ও দখলবাজ অতিশয় খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ওই জমি গত ১৯৯৯ সালে পাশের্^াক্ত ১নং বিবাদী তার বোন মনোয়ারা বেগমের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রী প্রদান করে হাজী মনজুর আলমকে ত্রিশ লক্ষ টাকা মূলে নি¤œ তপশীলোক্ত জমির আন্দরে মোট ৬০ (ষাট) শতক জমি বিক্র করে। উক্ত জমি কক্সবাজার শহরের উত্তর তারাবনিয়ারছড়া এলাকাস্থ পুরাতন কর্মাস কলেজের উত্তর পাশের্^ অবস্থিত।
পরবর্তীতে মনজুর আলমের খরিদকৃত ৬০ শতক জমি হতে ইতিপূর্বেই বিশেষ টাকার প্রয়োজনে ওই জমি থেকে ৪৮ শতক জায়গা অন্যত্রে বিক্রি করে মনজুর আলম। বাকী ১২ শতক জমি বাদী মনজুর আলম বাড়ি করার জন্য বাউন্ডারী ওয়াল দিয়া এবং একটি টিনের ঘর নির্মাণক্রমে ভোগ দখলে রয়েছে। সম্প্রতি ভুমিদস্যু আব্দুল খালেক ও তার ছেলে মো. রনি দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে জমির জমির প্রকৃত মালিককে বেআইনিভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো।
এরই ধারবাহিকতায় গত ২০১৯ সালের ২৭ জুন সকাল ১০ টার দিকে ওই ভুমিদস্যুসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মনজুর আলমের নি¤œ তপশীলোক্ত মৌজা-কক্সবাজার (পৌর এলাকা) বি এস খতিয়ান নং-২৫৬, বি এস দাগ নং- ১১১৭৩,১১১৭৪, ১১১৮৬ সৃজিত বি এস খতিয়ান নং-২৩০৯, জমির পরিমান- ১২ শতক জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে উক্ত জায়গায় ইট, বালিসহ নির্মাণ সামগ্রী মওজুদ করত: জোরপূর্বক হাঙ্গামাগৃহ নিমার্ণের অপচেষ্টা চালায়। জমির প্রকৃম মালিক নির্মাণ কাজে বাধা দিলে তাকে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিয়েছিল ওই দখলবাজররা। এমনকি বাদীকে প্রাণে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ওই ভুমিদস্যুরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-