নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ
টেকনাফে যৌতুক না পেয়ে ৪ সন্তানের জননী সনজিদা বেগম নামে এক অসহায় নারীকে পিটিয়ে পালিয়ে গেল স্বামী।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর আগে কক্সবাজারের চকরিয়া ভেওলা মানিকচর দক্ষিন বহাদ্দার কাটা এলাকার মৃত নজির আহাম্মদের পুত্র নুরুল আমিন(৪২) প্রকাশ বাবুলের সাথে টেকনাফ পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে সনজিদা বেগমের সাথে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর থেকে খুব সুন্দর সুখ আর শান্তিতে চলতে থাকে তাদের সংসার জীবন। এই ১৮ বছরের ব্যবধানে তাদের সংসারে পরপর ৪টি সন্তান জন্মনেয়।
তারা হচ্ছে,যাথাক্রমে হুমায়রা জন্নাত মুন্না(১৬), জান্নাত আরা মুন্নি(১২) নয়ন মনি রুবি(৮),রোহান চৌধুরী বাপ্পি(৬)। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখানে হঠাৎ করে স্বামী নুরুল আমিন বিগত ১বছর আগে এক রোহিঙ্গা মেয়ের পাল্লায় পড়ে এরপর থেকে স্ত্রী সনজিদা সংসারে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া। স্বামী দাবী করে শ্বশুরের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে।
আবার এই যৌতুকের জন্য কারনে অকারনে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে প্রতিনিয়ত। এমনকি ভরণ পোষনও দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তবুও স্ত্রী সংসারের কথা চিন্তা স্বামীর সমস্ত অমানবিক নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে। অবশেষে স্ত্রী কাছ থেকে দাবীকৃত যৌতুক আদায় করতে না পেরে গত ১০/৭/১৮ স্ত্রী সনজিদাকে লাঠি দিয়ে পুনরায় বুকে পিঠে শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ী পিঠিয়ে ঘর হইতে বাহির হইয়া উখিয়া পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যায়। এরপর থেকে স্বামী নুরুল আমিনকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও অদ্যাবদি তাহার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযোগকারী ৪ সন্তানের জননী অসহায় নারী সনজিদা।
তিনি টেকনাফ উপজেলার আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) তদন্ত এবি,এম,এস দোহা কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ এখনো হাতে আসেনি যদি আসে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-