গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের দমন করার জন্য কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকার মধ্যেও থেমে নেই মাদক পাচার।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মিয়ানমার পাচার হয়ে আসছে ইয়াবাসহ নানান প্রকার মাদক।
এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধে সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতি নিয়ে টেকনাফে দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অভিযানে কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ প্রায় একশতাধিক মাদক কারবারী নিহত হয়। তারপরও থামছেনা মাদক পাচার।
টেকনাফ ২ বিজিবি তথ্য সুত্রে দেখা যায়, গত ১জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের অভিযানে ৫২ কোটি, ৮৬ লক্ষ, ৬১হাজার,৭ শত টাকা মুল্যের ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আবার এই মাদক গুলো উদ্ধার করার সময় বিজিবির গুলিতে ৩ পাচারকারী নিহত হয়। আটক করা মাদক পাচারে জড়িত ৫ ব্যক্তিকে।
গত এক মাসের অভিযান গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফয়সল হাসান খাঁন জানান,টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা গত জুন মাসে ১৭ লক্ষ, ৫৭ হাজার, ৩৮৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ১৬ লক্ষ,৩ হাজার ২৬৯ পিস ইয়াবা হচ্ছে মালিকবিহীন। আর ১ লক্ষ,৫৪ হাজার, ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার সময় ৩জন মাদক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পাশাপাশি মাদক পাচার প্রতিরোধে ও জড়িত কারবারীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে স্থানীয়রা সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা না করলে এই সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন,স্থানীয় জনগন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজিবি সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে মাদক পাচার প্রতিরোধে আমরা আরো সফলতা অর্জন করতে পারবো।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-