খুরুশকুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কক্সবাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল

নির্মানের পরে দীর্ঘদিনেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের রাস্তার পাড়া এলাকায় গণস্বাস্থ্য বহুমূখী আশ্রয় কেন্দ্রের পুরোনো ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেষ্টার খসে পড়ে বেড়িয়ে পড়েছে মরিচা ধরা লোহার রড়। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা। এ অবস্থায় চিকিৎসাব সেবা নিতে আসা রোগিদের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও আতঙ্কে থাকেন।

এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেসব চিকিৎসা দেয়া হয় তা, অর্থনৈতিক গ্রুপ ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। ফোঁড়া কাটা সেলাই, ও ড্রেসিং-সহ ডেলিভারি এবং খতনা করা হয়। রক্ত পায়খানা, প্রশ্রাব এর রুটিন পরীক্ষা করা হয়। জরুরি রোগিদের ভর্তি রাখা সহ সার্বক্ষনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। গর্ভবর্তী মহিলা ও নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা করা হয়।

এদিকে যাঁরা ওই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে তারা আসলেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং চিকিৎসা সেবা দেয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি কিনা এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সচেতন মহল। ওই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে অনেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সচেতন মহলের অভিযোগ, যেখানে মানুষ সেবা নিতে আসে সেখানেই ভবনটি ব্যবহারে অযোগ্য। ওই ভবনেই যাঁরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভবনটি একেবারেই পরিত্যক্ত ভবনের মতো হয়ে গেছে। কিন্তু ভবনটি কার্পেটিং ও সংস্কার করার কক্সবাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ পুরোনো জরাজীর্ণ এ ভবনটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হেড অফিসে অভিহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই গণস্বাস্থ্য বহুমূখী আশ্রয়ন কেন্দ্রের তিনতলা ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৪ সালে। সেই ভবন নিমার্ণ করার সময় নিম্মমানের দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করায় অল্পদিনেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও জরার্জীণ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত ভবনটি সংস্কারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যানেজার শাহাদত হোসেন বলেন, আসলেই ভবনটি পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের হেড অফিসে আবেদন করা হয়। অতি-সত্তর ভবনটি সংস্কার করা হবে। চিকিৎসা সেবায় যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁরা সবাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দাবী করেছেন তিনি।

আরও খবর