উখিয়া সরকারি হাসপাতালে দূর্নীতি,অনিয়ম এখনো থামেনি। এখানে কয়েকটি দালাল সিন্ডিকেট হাসপাতালে বহাল তবিয়তে বিচরণ করার কারনে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ বাইরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে এম্বুলেন্স টাকার বিনিময়ে যাচ্ছে এদিক-সেদিক। গরীবের বেলায় এম্বুলেন্স নেই। পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে নিন্মমানের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ।
গত রবিবারের ঘটনা। সকাল ১০ টায় উখিয়া হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে সিকিৎসা নিতে আসেন উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া গ্রামের নুরুল আলমের স্ত্রী আরেফা বেগম। আরেফা ৪ মাসের গর্ভবতী। বহিঃ বিভাগের ডাক্তার তাকে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে ঔষুধও দেওয়া হয়। রাতে ঔষুধ খেয়ে আরেফার আরো খারাপ অবস্থা। সোমবার সকালে উখিয়া সদরের একটি ফার্মেসীতে আনা হয় তাকে।
ফার্মেসির ডাক্তার দেখতে পান আরেফাকে উখিয়া হাসপাতাল থেকে দেওয়া ঔষুধের একটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। তাতে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখা ছিল ১৯ জুন ২০১৯।
জানা যায়,আরেফাকে যে কক্ষ থেকে প্রেসক্রিপশন করা হয়েছিল তা আন্তজার্তিক এনজিও সংস্থা ইউএনএফএ নিয়ন্ত্রিত। তাদের ঔষধ তারাই দেয় বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।
তাহলে এসব দেখবে কে?
হাসপাতাল না এনজিও সংস্থা!
উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক সরওয়ার আলম শাহীনের ফেইসবুক আইডি থেকে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-