সায়ীদ আলমগীর, জাগো নিউজ :
কক্সবাজারের রামু, পেকুয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে শিশু ও বৃদ্ধসহ ছয়জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হাতির আক্রমণ, বালতির পানিতে ডুবে ও বন্দুকযুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রামু-মরিচ্যা সড়কের থোয়াইংগ্যাকাটা পাইন বাগান এলাকায় পিকআপ ও মাহেন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকার মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৭০) ও ফতেখারকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীকুলের মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (৫০) মারা গেছেন।
তারা মাহেন্দ্রের যাত্রী ছিলেন। রোববার সকালে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, রামুর খুনিয়াপালংয়ের তুলাবাগান এলাকায় কাঁঠাল রক্ষা করতে গিয়ে ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কায়দংপাহাড় এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে আবুল বশর (৪৫) হাতির আক্রমণে মারা গেছেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে লোকালয়ে হানা দেয়া হাতির পাল গাছের কাঁঠাল খাচ্ছিল। কাঁঠাল রক্ষা করতে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালান আবুল বশর। এ সময় একটি হাতি তাকে উল্টো ধাওয়া করে ধরে আছড়ে মেরে ফেলে।
অপরদিকে, পেকুয়ায় বালতির পানিতে ডুবে দেলোয়ার মোহাম্মদ নবাব নামে ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু নবাব দৈনিক ভোরের কাগজ ও কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক রূপসী গ্রামের পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন সুজনের ছেলে। একইদিন বিকেলে জানাজা শেষে নবাবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাড়ির নলকূপে গোসলের জন্য পানিভর্তি বালতি রেখে বাড়ির শ্রমিকদের কাজ তদারকির জন্য গিয়েছিলেন শিশু নবাবের বাবা সাংবাদিক সুজন। এ সময় সবার অগোচরে পানিভর্তি বালতিতে ডুবে মারা যায় নবাব।
এছাড়া টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শটগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
রামু থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান, টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পেকুয়া থানা পুলিশের ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা জানান, শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ছয়জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-