চকরিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা মাদক বেচাকেনার হাট; পুলিশ পায় মাসোহারা

চকরিয়া প্রতিনিধি :

সারাদেশে চলছে মাদকের অভিযান,চলে যায় যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে এই কথাটি যেন কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালীর জন্য ব্যক্রিম বলে এলাকার বাসীর অভিযোগ।
কারণ বদরখালীতে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা ইয়াবা ও মাদক বেচাকেনা থেমে নেই জুয়ার আসরও অবাধ বাণিজ্য।বিভিন্ন স্পটে গড়ে উঠছে এসব মাদকের আখড়া।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, এসব স্পট থেকে বদরখালী পুলিশ ফাড়িঁর এস আই মো.ইসমাইল হোসেন একজন কনেষ্টবল দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর প্রতিটি সদস্যের থেকে মাসিক টাকা আদায় করছে।

বদরখালী ইউনিয়ন যেন নেশার ইউনিয়ন পরিণত হচ্ছে দিন দিন। যুব সমাজ উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা হাত বাড়ালে মিলছে ইয়াবা,গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, বাংলা মদ, ইয়াবাসহ সকল প্রকারের মাদক আর সাথে চাইলেই পাওয়া যায় নারীও। হাতের নাগালে পেয়ে যুব সমাজ ধাবিত হচ্ছে ধবংসের ধারপান্তে।

বদরখালী ইউনিয়ানের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন টিটু বলেন,বদরখালী পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ এস আই মো,ইসমাইল হোসেন যোগদানের পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা আরো ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় পালন করলে কি ভাবে এ সমাজ থেকে মাদক নির্মুল করা কোনদিন সম্ভব হবে না।

বদরখালী সাবেক এক মেম্বার থেকে মুঠো ফোনে এলাকার ইয়াবা ও মাদক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অক্ষেপ করে বলেন ,পুলিশ ফাড়িঁর এস আই ইসমাইল হোসেন যোগদানের পর থেকেঅঘোষিত এক জন কনেষ্টবলকে নিয়োগ দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী কাছ থেকে প্রতিমাসে টাকা আদায় করচ্ছে ।

ইতোমধ্যে পুলিশের অভিযানে মদ, গাঁজাসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে কারাগারে প্রেরণ করলেও তারা জামিনে এসে আবার জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়। স্থানিয়রা জানিয়েছেন, ইয়াবা জিয়াবুল করিম মাধ্যমে ইউনিয়নের মাদকের অবাধ বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। তার আখড়ায় প্রায় প্রতিদিন মাদকসেবী লোকজনের আনা-গোনা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তারই স্ত্রী রহিমা বেগম কক্সবাজার সমিতিপাড়া এলাকায় পরিচিত আতিœয় থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা নিয়ে এসে বদরখালী হয়ে মহেশখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে বলে জানা। আর তার মাধ্যমে বদরখালী বাজার এলাকার জালালের স্ত্রী জন্নাত বেগম,মৃত দেলোয়ারের পুত্র কালু ইয়াবা পাচারে সর্বাত্বক সহযোগিতা করছে।তাছাড়া একই এলাকার মৃত গুরা মিয়ার প্রত্র কালু ও তার স্ত্রী হাছিনা, বদিয়ার স্ত্রী আলমাছ খাতুন, ও আনোয়ার বাড়ীতে প্রতিনিয়ত বাংলা মদের আসর বসে বলে জানান প্রদত্যক্ষদর্শীরা।

এদিকে জিয়াবুলের স্ত্রী রহিমার নেতৃত্বে তার বাসা ও তার শাশুরবাড়ী রাশেদাবর বাড়ীতে ও নারী দেহ ব্যাবসা জমজমাট রয়েছে বলে অভিযোগ।এ ছাড়া ও বদরখালী ইউনিয়নে আনুমানিক ৫০টিরও অধিক মাদক সেবনের স্পট রয়েছে।

এদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বেকার যুবক আরো আছেন ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক কর্মীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশ ইয়াবা,ফেন্সিডিল, গাঁজা হেরোইনও ইয়াবা আসক্ত বেশি বলে জানা গেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে অভিযোগের পাহাড় জমলেও অর্দৃশ্য হস্তেক্ষেপে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিছুদিন আগে বদরখালী ইয়াবা সিন্ডিকেটের প্রধান জিয়াবুল গ্রেফতার হলেও তার অন্য সদস্যরা প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা করলেও আইনশৃখলা বাহিনী সদস্যরা এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করছে না ।
এ বিষয়ে জানতে চকরিয়া থানার সদ্য যোগদান করা ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান,মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর