রিয়াজ কে আদালতে সোপর্দ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন

চকরিয়া প্রতিনিধি :

চকরিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী মেধাবী ছাত্র আনাস ইব্রাহিম হত্যাকা-ের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয় আসামী মোহাম্মদ রিয়াজকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকা-ের আদ্যোপান্ত সবিস্তারে জানতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমা- আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয় ধৃত রিয়াজকে। এ সময় রিয়াজকে জেলহাজতে প্রেরণ এবং রিমা-ের জন্য করা আবেদনের ওপর শুনানীর জন্য আগামীকাল (আজ) সময় নির্ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আতিক উল্লাহ।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকা-ের ঘটনায় বাবা হাফেজ মাওলানা নেছার আহমদের দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় বাকী ৫ আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য চকরিয়া, কক্সবাজারসহ বিভিন্নস্থানে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। তবে হত্যাকা-ের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামী বখাটে শোয়াইবুল ইসলাম রুবেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করা যায়নি। রুবেলসহ অপরাপর আসামীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছে। সদ্য এসএসসি পাস করা বিনয়ী ও মেধাবী ছাত্র আনাস ইব্রাহিমকে ঈদবাজারে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এখনো প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের প্রতি অবিলম্বে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আনাস হত্যা মামলার আসামীদের ধরতে বিভিন্নস্থানে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। অচিরেই পুলিশের কব্জায় আসবে আসামীরা।’

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, ‘আনাস হত্যাকা-ে কতজন অংশ নিয়েছে, কোথায় এবং কি কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে সবকিছুই বের করতে পুলিশ কাজ করছে।’
থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আনাস হত্যাকা-ের ঘটনাটি সকলের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। তাই কোন কিছুই চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না পুলিশ। হত্যাকা-ের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য ধৃত আসামী রিয়াজকে আদালতে সোপর্দ এবং পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদের জন্য সাতদিনের রিমা- চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গায় ঈদবাজারে শপিং করতে যায় আনাস ইব্রাহিম ও তার বন্ধু আবদুল্লাহ। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা ৭-৮ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো ছুরি নিয়ে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে আনাস ইব্রাহিম ও আবদুল্লাহকে। এতে আনাসের পেটে ছুরিকাঘাতে নাড়ি-ভুরিও বের হয়ে যায়। আর আবদুল্লাহকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা।

এ সময় আহত হয় তার বন্ধু মো. আবদুল্লাহও। মুমুর্ষ অবস্থায় দুইজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনাস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আহত আবদুল্লাহ চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খুন হওয়া আনাস ইব্রাহিম পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা গ্রামের হাফেজ মাওলানা নেছার আহমদের পুত্র। এ ঘটনায় বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করেন। ##

আরও খবর