কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী আর নেই। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তার জামাতা রাজেশ শিকদার বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর ৪টা ২৬ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রাজেশ জানান, তার স্ত্রী ফাল্গুনী নন্দী সুবীর নন্দীর মৃত্যু সংবাদটি ভোর সারে চারটায় তাকে ফোনে জানান। যিনি সিঙ্গাপুরে সুবীর নন্দীর সঙ্গে রয়েছেন। সুবীর নন্দীর মরদেহ দেশে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে, তবে কবে কখন দেশে আসতে পারেন সে বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
সুবীর নন্দী ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে পরিবারসহ শ্রীমঙ্গলে আসেন। তিনি ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়লে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। ওই দিনই রাত ১১টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকাকালীন গত ৩০ এপ্রিল সুবীর নন্দীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-