ডেস্ক রিপোর্ট – কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বজ্রপাতে মিঠামইন উপজেলায় দুইজন, পাকুন্দিয়ায় তিনজন ও ইটনায় একজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
মৃতেরা হলেন-মিঠামইনের কুড়ারকান্দি গ্রামের সুমন মিয়া (৭), বিরামচর গ্রামের মহিউদ্দিন (২২), পাকুন্দিয়া উপজেলার কোষাকান্দা গ্রামের আসাদ মিয়া (৪৫), চর আলগি গ্রামের মুজিবুর রহমান (৩৫), নুরুন্নাহার (৩২) ও ইটনা উপজেলার কাঠুইর গ্রামের রুবেল দাস (২৬)।
দুপুরে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মারা যান।
উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মহিউদ্দিনের (২২) মৃত্যু হয়।
মিঠামইন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান জানান, মৃত সুমন কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং মহিউদ্দিন বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে।
ইটনা উপজেলায় কৃষিকাজ শেষে হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল দাস (২৬) মারা যান। দুপুরে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। রুবেল কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেল দুপুরে হাওরের জমিতে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রাঘাতে রুবেল গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পাকুন্দিয়ায় গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে আসাদ মিয়ার (৪৫) মৃত্যু হয়। দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। আসাদ উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।
চর আলগি গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান বাড়ির সামনে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। আলতাব উদ্দিনের মেয়ে নুরুন্নাহার চাল ছাঁটাই করে ফেরার পথে গাছতলায় দাঁড়ালে বজ্রপাত হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-